এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়নে ঢেমুশিয়ায় জলমহালের শাখা পয়েন্টের পানি নিস্কাশন পথ আটকিয়ে ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থার কারণে চলতি মৌসুমে ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন ও পাশের পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নে বোরোচাষ অনিশ্চিয়তার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে স্থানীয় শতাধিক কৃষকের সর্বনাশ হবার উপক্রম হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় কৃষকদের পক্ষথেকে মনজুর আলম নামের এক কৃষক বাদি হয়ে সম্প্রতি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, উপজেলার ঢেমুশিয়া জলমহালের মিঠাপানি সুবিধা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের আম্মারডেরা ও পাশের পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক ইরি-বোরো ও সবজি চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে জলমহালের শাখা পয়েন্টের পানি নিস্কাশনের চলাচলের একমাত্র সুগম পথটি দখলে নিয়ে স্থানীয় মোজাফফর আহমদের ছেলে মহি উদ্দিন সেখানে মাটি ফেলে ভরাটের মাধ্যমে দোকান নির্মানের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কোন ধরণের বাঁধা নিষেধ না থাকায় অল্পদিনের ব্যবধানে দোকান নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছে। এতে কৃষকরা প্রতিবাদ করলেও অভিযুক্তদের নানাধরণের ভয়ভীতির কারণে পিছু হটে আসতে বাধ্য হয়েছে। এ ঘটনায় ঢেমুশিয়া ও পশ্চিমবড় ভেওলা ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক চলতি মৌসুমে পানি সুবিধা বন্ধ হয়ে পড়ার কারণে বোরো চাষে নামতে পারছেনা।
অপরদিকে স্থানীয় এলাকাবাসি জানিয়েছেন, পানি চলাচলের একমাত্র পথটি বন্ধ করে সেখানে দোকান নির্মাণ করা হলে বন্যার সময় এলাকার লোকজনকে পানিবন্দি অবস্থায় থাকতে হবে। এমনকি পাশে অবস্থিত মসজিদের কবরস্থানটি বর্ষাকালে ডুবে যেতে পারে। এতে ওইসময় এলাকার মানুষের লাশ দাফনেও দুর্ভোগ দেখা দেবে।
অবশ্য পানি নিস্কাশন পথ বন্ধের মাধ্যমে দোকান নির্মাণে অভিযুক্ত মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, তিনি নিজেদের জায়গায় দোকান নির্মাণ করছেন। জায়গার বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে।
এদিকে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধের ঘটনায় কৃষক মনজুর আলমের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারি কমিশনারকে (ভুমি) দায়িত্ব দিয়েছেন।
চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.তানভীর হোসেন বলেন, কৃষকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার ঘটনাস্থল পরির্দশন করা হয়। ওইসময় অভিযুক্তপক্ষকে সেখানে জনস্বার্থ বিরোধী কোন স্থাপনা না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও কাজ করলে পরবর্তীতে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##
পাঠকের মতামত: