প্রেসবিজ্ঞপ্তি :::
কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শনিবার অনুষ্টিত হয়েছে প্রথম আলোর আঞ্চলিক গণিত উৎসব। সকাল সোয়া ৯টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তেব্যে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘গণিত ছাড়া বিজ্ঞান হয় না। গণিত না জানলে উচ্চশিক্ষা গ্রহন সম্ভব নয়। গণিত সোজা, শুধু বুদ্ধির খেলা। বুদ্ধিকে পরিপক্ক করে এই গণিত।
তিনি বলেন,‘ মানব সভ্যতার পেছনে গণিতের অবদান অনেক। তাই গণিতকে জয় করতে হবে। ’ এসময় শিক্ষার্থীরা হাত তুলে গণিত জয়ের শপথ নেয়।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া উদ্বোধনী পর্ব জাতীয় পতাকা, আর্ন্তজাতিক গণিত অলিম্পিয়াড পতাকা ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কক্সবাজারের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. সাজ্জাদুর রহমান ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন।
বক্তব্য দেন, কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম মোহন সেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রথম আলো কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিস প্রধান আব্দুল কুদ্দুস রানা বলেন, যা কিছু ভালো-তার সঙ্গে প্রথম আলো আছে এবং থাকবে। গণিত উৎসব ছাড়াও প্রথম আলোর উদ্যোগে নানা কর্মসুচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
গতকালের এ উৎসবে অংশ নেয় কক্সবাজার ও বান্দরবানের শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮৫৭ জন শিক্ষার্থী।
উদ্বোধনী শেষে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় এক ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায়। এরপর শুরু হয় গণিত নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাব দেন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আরশাদ চেšধুরী ও নোভা আহমেদ, চশরিয়ার বদরখালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক, কক্সবাজার সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান আবদুল কুদ্দুস, প্রভাষক নিজাম উদ্দিন ফারুকী, পদার্থ বিজ্ঞানের সহকারি অধ্যাপক মফিজুল আলম, কক্সবাজার সিটি কলেজের পদার্থ বিদ্যার শিক্ষক জেবুন্নেছা প্রমুখ।
এরপর সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপ্তির ভিত্তিতে চারটি ক্যাটাগরিতে ৫০ জন খুদে গণিতবিদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের মেডেল ও টি-শার্ট দেওয়া হয়।
বিজয়ীরা হলো :
# প্রাইমারী ক্যাটাগরী : চ্যাম্পিয়ন (পাঁচ জন) যথাক্রমে পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইশরাক খাঁন, রামু এভারেস্ট টিচিং ইনস্টিটিউটের জুনাইদুল আরেফিন লাবিব, কক্সবাজার আইডিয়াল স্কুলের শেহজাদুল হক, বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের ঋদিতা পাল ও বায়তুশশরফ জব্বারিয়া একাডেমীর রাদিয়া করিম।
ফাস্ট রানারআপ (তিন জন) চকরিয়ার অনুশীলন একাডেমীর হাসনাত উল আতকিয়া আফরা, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ সরকারি প্রাথমিকের ইশমাম খাঁন ও অনুশীলন একাডেমীর সিদরাতুল মুনতাহা সীমা।
সেকেন্ড রানারআপ (তিন জন)- অনুশীলন একাডেমীর নাসরিন জিন্নাত সাদিয়া ও ফাতেমা মোস্তাফা সাফি এবং মহেশখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুভব রুদ্র রকি।
# জুনিয়র ক্যাটাগরী : চ্যাম্পিয়ন (তিন জন)-কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নিলুফা সায়রিন ও মৃন্ময় দাশ পিউ এবং কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের রিশাদ ইবতেসাম নিবির।
ফাস্ট রানারআপ ( পাঁচজন ) কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ইমতিয়াজ মাহিম সিকদার, হাসান মো. নকিবুল হক ও মো. আল সিফাত প্রিনন, মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ফাতেমা তাসনিম ঝুমা ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের তাসনোভা শামীম ইরা।
সেকেন্ড রানারআপ ( ছয় জন) কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের আজওয়াত আরহাম রফিক, আদিপ্ত দাশ, মো. নাঈমুল ইসলাম ও রূপক ইসলাম শাওন, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের রাহিনা ইয়াসমিন রাহিন ও তাসফিয়া আলম মাহিন।
# সেকেন্ডারী ক্যাটাগরী : চ্যাম্পিয়ন ( চারজন) কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সৌরভ দে, আরিফুর রহমান ও এস এ আরেফিন ইতু এবং কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের আরজিনা সাদেক আরবী।
ফাস্ট রানারআপ (পাঁচ জন)-ঈদগাঁও মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের সায়েদ তানবির হাসান জাহিন ও আবদুল মালেক, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের আমেনা বেগম তানহা, কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের রফিকুল ইসলাম রায়ান ও মো. ওবায়দুর রহমান সাপ্তি।
সেকেন্ড রানারআপ ( পাঁচজন)-কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের পার্থ সারথি দাশ, অনিক দে ইমন ও জাওয়াদ তাহসিন, চকরিয়া গ্রামার স্কুলের চৌধুরী মোহাম্মদ আদিল নেওয়াজ ও ইশমাম বিন নুর সাদ।
# হায়ার সেকেন্ডারী ক্যাটাগরী : চ্যাম্পিয়ন ( তিনজন)-কক্সবাজার সরকারি কলেজের খন্দকার ইব্রাহিম রাকিব, মিনহাজুল আরেফিন ও আমেনা ছিদ্দিকা।
ফাস্ট রানারআপ ( দুইজন)-কক্সবাজার সরকারি কলেজের মো. ফারুক ও সুমনা দে নিশি।
সেকেন্ড রানার আপ (ছয়জন)-কক্সবাজার সরকারি কলেজের দিদারুল ইসলাম, জয়নাল উদ্দিন, জাকিয়া ফেরদৌস টিনা, ইশতিয়াক মাহিন, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের সাজিয়া ফারজানা ও তাবাসসুম বেগম।
এর আগে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বন্ধুসভার সদস্যরা গান ও নেতৃ পরিবেশন করেন। অনুষ্টান সঞ্চালনা করেন-বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল।
পাঠকের মতামত: