নিউজ ডেস্ক :: চাকরী বন কর্মকর্তার গাড়ী চালক তবে নিজে সারাক্ষণ মটর সাইকেল যোগে জেলা শহর ছাড়াও গ্রাম গঞ্জে গিয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়ান। ভুক্তভোগীদের হিসাবে মাসে অর্ধলাখ টাকার চাঁদাবাজি করে দক্ষিণ ডিএফওর গাড়ী চালক রনজন দে।
কয়েক দিন আগে চৌফলদন্ডি ঘাটে বোট নির্মাণকারীদের সাথে টাকার ভাগ নিয়ে ঝগড়া হতে দেখে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি বন বিভাগের বড় স্যার। পরে কক্সবাজার বন বিভাগে এসে পরিচয় নিয়ে জানা গেছে তিনি বন কর্মকর্তার গাড়ী চালক রনজন দে।
ঘুরেফিরে কক্সবাজারে চাকরী করছেন প্রায় ২ যুগের বেশি সময় ধরে। শহরের কস্তুরাঘাট এলাকায় কাট ব্যবসায়িদের মার্কেটে গিয়ে নানান সময় এই ব্যাক্তিকে চাঁদা নিতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করে কাট ব্যবসায়িরা বলেন,রনজন দে প্রতি মাসে এখান থেকে চাঁদা আদায় করেন তবে উনার সাথে মাসে যে পরিমান টাকা দেওয়ার কথা আছে মাঝে মধ্যে তার চেয়ে বেশি দাবী করে অনেকে ট্রাক নিয়ে গাছ আনলে গাড়ী আটকে রেখে তাৎক্ষনিক টাকা আদায় করে। আর চাঁদা দিতে না চায়লে দোকান এবং ব্যবসা বন্ধ করার হুমকি দেয়।
এ সময় রনজন দে কর্তৃক কাট ব্যবসায়িদের দোকান বন্ধ করা এবং এক মৌলবীকে তার র্ধম এবং ইবাদত নিয়ে প্রকাশ্য কটুক্তি করছে এমন মোবাইল রেকর্ড আছে।
এদিকে গত কয়েকদিন আগে শহরের বীচ এলাকা থেকে এক শামুক ভর্তি গাড়ী থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে বলে প্রমাণ আছে। এখানে শেষ নয় গাড়ী চালক রনজন দের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি আগের কর্মস্থল ফাসিঁয়াখালীতে টাকার নিয়ে কাট পাচার করার প্রমাণ সহ হাতেনাতে পেয়ে তৎকালীন ডিএফও তাকে শাস্তি দিয়েছিলেন।
কিন্তু কয়লাধুলে ময়লা যায় না সেই প্রবাদকে সত্য প্রমান করে রনজন দে এখনো খুরুশকুল, চৌফলদন্ডি, ভারুয়াখালী, পিএমখালী সহ সর্বত্র নিজেকে বন বিভাগের বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।
তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ তিনি সব সময় ডিএফওর কথা বলেই চাঁদা আদায় করেন তবে আদৌ ডিএফও এই ব্যাপারে জানেন কিনা জানেনা কেউ।
এ ব্যাপারে বন কর্মকর্তার গাড়ী চালক রনজন দে বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা আমার কারনে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে তারাতো অভিযোগ করবেই। আপনারা যাচাই করেন। তবে কয়েকটি প্রমাণ দিতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন এবং প্রতিবেদকের সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাঠকের মতামত: