ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফ অর্থনৈতিক অঞ্চল জন্য পরিদর্শন করেন পরামর্শক প্রতিনিধি দল

THE-CM1-147-696x378নিউজ ডেস্ক  ::

অর্থনৈতিক অঞ্চল টেকনাফের জইল্যারদিয়া পরিদর্শন করেন বেজার পরামর্শক প্রতিনিধি দল। রোববার বিকাল ৪টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দর অভিবাসন কেন্দ্রের জেটি দিয়ে কোস্টগার্ডের ¯িপডবোট যোগে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজার) পরামর্শক প্রতিনিধি দলটি জইল্যারদিয়ার চতুর্দিকে ঘুরে পরিদর্শন করেন। বেজার পরামর্শক দলে ছিলেন,
জার্মান নাগরিক মিসেস থার্টিনা এগাটর্, নরবাট জিন্সবার্ট ও টেকনাফের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম।
উপজেলা সূত্র জানা গেছে, মিয়ানমার সীমান্তের টেকনাফের নাফনদীর মাঝখানে অবস্থিত  জইল্যারদিয়ার আয়তন ২৭১ দশমিক ৭১ একর। দীর্ঘ দেড়যুগ ধরে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি দ্বীপটি ইজারা নিয়ে ওই এলাকায় চিংড়ি ও লবণ উৎপাদন করে আসছে। এখন বিদেশি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভূমি মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে প্রতীকী মূল্যে এই দিয়াটি বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অনুকূলে বন্দোবস্তি দিয়েছেন।
গত বছরের ৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১৯জন সচিব জইল্যারদিয়া ও সাবরাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম পার্ক এলাকা পরিদর্শন করেন। জইল্যারদিয়ার সৌন্দর্য দেখে তখন সবাই মুগ্ধ হন। এরপর দ্বীপটিতে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার কাজে হাত দেন বেজা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন, মহাপরিকল্পনার জন্য প্রতিনিধি দলটি (জালিয়ারদ্বীপ) জইল্যারদিয়ার অর্থনৈতিক অঞ্চলের জায়গা পরিদর্শন করেছেন। দ্বীপটি দেখে দুই পরামর্শক খুবই মুগ্ধ  হয়েছেন।
তিনি পরিদর্শনে আসা দুজনের বরাত দিয়ে বলেন, পর্যটকদের জন্য এখানে তৈরি হবে আধুনিক মানের রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ। পাহাড় থেকে নদীতে নামার জন্য স্থাপন করা হবে ক্যাবল কার। থাকবে কেনাকাটার আধুনিক শপিং সেন্টার। জালিয়ার দ্বীপে গড়ে তোলা হবে একটি অন্য রকম বিনোদন কেন্দ্র। এসব চিন্তা মাথায় রেখে মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে পরামর্শক দল পরিদর্শনে আসেন। এপ্রকল্প বাস্তবায়ন হলে টেকনাফে দেশি-বিদেশি লাখ লাখ পর্যটকের আগমন বাড়বে।

পাঠকের মতামত: