টেকনাফ প্রতিনিধি :::
টেকনাফে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সৃজিত সামাজিক বাগানের ভেতরে প্লট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বনবিটের অসাধু কর্মচারী এবং সামাজিক বাগানের অংশীদাররা মিলেমিশে উক্ত প্লটে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দোকান নির্মাণের সুযোগ করে দিচ্ছেন। স্থানীয় পরিবেশবাদীরা আশংকা করছেন, বিশাল আয়তনের সামাজিক বাগানটি উজাড় হলে এখানকার জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।
অংশীদার এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়,টেকনাফ রেঞ্জের হ্নীলা মোচনী বিটের লেদায় ২০০৩-২০০৪ সনে ৫০একরের সৃজিত সামাজিক বাগানে প্লটের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৭০-৮০টিরও বেশী দোকান-পাট নির্মাণ করা হয়েছে। বন মালী এবং বাগানের কিছু অসাধু অংশীদার এই প্লট বিক্রিতে সরাসরি জড়িত বলে লোকজন জানিয়েছেন। টাকার বিনিময়ে প্রতিনিয়ত বনের ভেতরে দোকান তৈরী করছেন অংশীদাররা। অভিযোগ রয়েছে,সামাজিক বাগানের অংশীদার এবং বিটের কিছু কর্মচারী দৈনিক এবং মাসিকহারে টাকা আদায়ের শর্তে দোকানগুলি বসিয়েছেন। বনবিভাগ সুত্র জানায়, মোচনী বিটের লেদার বনাঞ্চলটি পশু-পাখির অভয়াণ্য। উক্ত বনাঞ্চলটি পশু-পাখির খাদ্য উৎপাদনের অন্যতম স্থান। বাগানের অংশীদার পশ্চিম লেদা এলাকার মৃত হায়দর আলীর পুত্র জামাল হোসন জানান,স্থানীয় কম্বুল হোসনের পুত্র কালু সামাজিক বাগানে ৭০/৮০টি দোকান বসিয়েছেন। আর বনে বসানো প্রতি দোকান থেকে আদায়কৃত দৈনিক এবং মাসিক টাকা বনবিভাগের লোকজন এবং অংশীদাররা ভাগ বাটোয়ারা করেন। আবার ঐ টাকার কিছু অংশ পাহারাদারদের বেতন হিসেবে দেওয়া হয় বলে এই অংশীদার জানান। এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকের নুর বশর,সুলতান,এহেছান উল্লাহ,আয়ুব,এ ব্লকের মো: আলম,সি ব্লকের জুহুর আলম,সলিম,এফ ব্লকের আয়ুব,ইয়াছিন,স্থানীয় মীর কাশেম,নবী হোছাইন,মঞ্জুর,মোঃ ইসলাম প্রকাশ কালুসহ প্রায় ৭০/৮০টি দোকান-পাট সামাজিক বাগানের ভেতরে নির্মাণ করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রকৃতি প্রেমী সচেতন মহল,জরুরী ভিত্তিতে বিশাল একরের সামাজিক বাগান সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কিছু কিছু অংশীদারের যোগসাজশে বলপূর্বক বাগানে দোকান বসানোর কথা স্বীকার করে বাগান সভাপতি মোস্তাক আহমদ সওদাগর জানান,আমি এসব কার্যকলাপে একেবারেই অসন্তুষ্ট। বাগানো বসানো দোকান উচ্ছেদের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করে সবকিছুই স্বীকার করে নিয়ে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন,পদ থেকে ইস্তফা নিতে অনেক আগেই দরখাস্ত দিয়েছি। এখানে আমার করার কিছুই নেই। সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ) মো: সরওয়ার আলম জানান,আমিতো আসলে আগে শুনেনি কেবল আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। বন সংরক্ষণে দোকানগুলি উচ্ছেদের পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(কক্সবাজার দক্ষিণ) মো: আলী কবীর জানান,মুচনী বিটের উক্ত এলাকাটি বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য। বাগানে দোকান-পাট নির্মিত হলে বন উজাড় হয়ে যাবে। বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জানিয়ে তিনি আরো বলেন,সামাজিক বাগানের দোকান উচ্ছেদ করা হবে। জড়িত বাগানের অংশীদার এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশ:
২০১৭-০৫-১১ ১২:৩৬:৫০
আপডেট:২০১৭-০৫-১১ ১২:৩৬:৫০
- চকরিয়ায় প্যারাবন নিধনের মামলায় আসামি নিরীহ মানুষ
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে নারীসহ তিনজন গ্রেফতার
- মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নিহত
- চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদি সহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, বিক্রেতা গ্রেফতার
- দুর্নীতির আখড়ায় কক্সবাজার সিটি কলেজ
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- বদরখালী সমিতির ১১টি মৎস্য প্রকল্পের নিলাম নিয়ে বিরোধ
- রামুতে আপন ভাতিজিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
- রামুতে ল্যাপটপ পেলেন ৮০ নারী ফ্রিল্যান্সার
- চকরিয়া সদরের বক্স রোড সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
- বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে গেলেন পদত্যাগ করা বিতর্কিত অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম
- চকরয়ার ঠিকাদার মিজান গ্রেফতার, কোটি টাকার ঋণের জেল-জরিমানার দায়ে
- কক্সবাজার আবাসিক হোটেলে ৭০ ইউপি সদস্যের ‘গোপন বৈঠক’, আটক ১৯
- চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২টি ডাম্পার ও স্কেভেটর জব্দ
- চকরিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় : কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৭৩৬ জন আসামী
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- উত্তপ্ত রামু সরকারি কলেজ: অধ্যক্ষ মুজিবের অপসারনের দাবিতে কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
- মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
পাঠকের মতামত: