ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ইউপি সদস্য জামাল মেম্বার আটক

aqগিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ :::

টেকনাফের শীর্ষ ও আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ইউপি সদস্য জামাল মেম্বার অবশেষে পুলিশের হাতে আটক।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ১৮জুলাই সকালে টেকনাফ মডেল থানার এ এস আই আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটক করার সময় তার কাছে কোন ইয়াবা পাওয়া না গেলেও একটি মাদক মামলাসহ দুইটি মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী বলে জানা যায়। উল্লেখ্য, এবারের ইউপি নির্বাচনে এই শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান টাকা খরচ করে হ্নীলা ৭নং ওয়ার্ড হতে ইউপি মেম্বার নির্বাচিত হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি আব্দুল মজিদ অভিযানের সত্যতা স্বীকার করেন।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়-এই জামাল হোছাইন ছিল একজন সাধারণ দিনমজুর কৃষিজীবি। ২০০৯ সালে লবণ ব্যবসার আড়ালে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার আসায় মরন নেশা ইয়াবা ব্যবসার জগতে প্রবেশ করে। এরপর ইয়াবা ব্যবসাকে আরো পাকাপোক্ত করার জন্য আরেক শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ২০১১সালে নিহত হওয়া নুর মোহাম্মদের মেয়ের সাথে তার ছেলে শাহ আজমের সঙ্গে বিয়ে দেয়। এর পর দুই বেয়াই মিলে গড়ে তুলে ইয়াবা ব্যবসার বড় স¤্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করে। এর পর রাতারাতি কোটির টাকার মালিক বনে ঘুরে যায় তার ভাগ্যের চাকা। তার বেয়াই নুর মোহাম্মদ নিহত হওয়ার পর পুত্র শাহ আজমের মাধ্যমে ভারত, ঢাকা, কুষ্টিয়া, যশোর, চট্রগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবার চালান পাচার করে অল্প সময়ে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীর খেতাবে নাম উচ্চারন হয়। অবশেষে এইবারের ইউপি নির্বাচনে কোটি টাকার অধিক ব্যয় করে সে মেম্বার নির্বাচিত হয়। মেম্বার নির্বাচিত হয়ে বসে থাকেনি ইয়াবা পাচারের মুল হাতিয়ার খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জনপ্রতিনিধিদেরকে ম্যানেজ করে হ্নীলা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ নির্বাচিত হয়। সে মেম্বার নির্বাচিত হলেও এখনো ইয়াবা ব্যবসা থেমে থাকেনি। গতকাল ইউপি সদস্য জামাল আটক হওয়ার পর ইয়াবা সংশ্লিষ্ট অপরাপর ইউপি সদস্যদের মাঝে বিরাজ করছে চরম আতংক।

পাঠকের মতামত: