টেকনাফে মাদক নিয়ন্ত্রন অফিসটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। অফিস আছে কার্যক্রম নেই, অথচ এই উপজেলায় মাদক পাচার ও মাদক সেবনকারী হার দিন দিন বেড়েই যাওয়ায় সরকার মাদক দ্রব্য প্রতিরোধ করার জন্য এই উপজেলায় উক্ত অফিসটি প্রতিষ্টিত করেছিল। এই মাদক দ্রব্য অফিসটি চালু হওয়ার পর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মাদক দ্রব্য প্রতিরোধ করার জন্য লোক দেখানো কিছু কাজ করে। কিন্তু এই কাজ গুলোর মধ্যেও মাদক প্রতরোধে বড় ধরনের কোন ভুমিকা দেখা যায়নি। অথচ সীমান্ত প্রহরী কোষ্টগার্ড ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের অভিযানে উদ্ধার করা ৫ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকার বিপুল পরিমান ইয়াবা ও বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য উক্ত অফিসে জমা রাখা হয়। কিন্তু এই অফিসের কর্মকর্তাদের অবহেলার কারনে সেই কোটি কোটি টাকার মাদক গুলোও চুরি হয়ে য্য়া। চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু সেই চুরির ঘটনার দীর্ঘ ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত উক্ত ঘটনার সাথে কারা জড়িত সেই সন্ধান পাওয়া যায়নি। এইভাবে চলছে টেকনাফ উপজেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অফিসের মাদক প্রতিরোধের কার্যক্রম। বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার এই মাদক অফিসের কোন কার্যক্রম নেই বললেও চলে। টেকনাফ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় খবর নিয়ে আরো জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে টেকনাফ মাদক দ্রব্য অফিসের কর্মরত কর্মকর্তাদের মাদক দ্রব্য প্রতিরোধে কোন কার্যক্রম চোঁখে ধরা পড়ছে না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টেকনাফ শহরের অলিতে গলিতে পাড়া, মহল্লায়, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীর সংখ্যা বাড়ছে দিনের পর দিন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে টেকনাফ উপজেলা আইন শৃংখলা বাহিনীর আদলে ঘেরা টেকনাফ উপজেলা আওয়াতাধীন মাদক দ্রব্য অফিস থেকে প্রায় ২ লক্ষ ইয়াবাসহ আনুমানিক ৫ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য চুরি হয়ে যায়। এই ঘটনার সাথে কারা জড়িত, সেই সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
এব্যাপারে উখিয়া-টেকনাফের দায়িত্বে থাকা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের ইনচার্জ তপন কান্তি শর্মা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, এই উপজেলায় মাদক পাচার, মাদক ব্যবসা, মাদক সেবনকারী মাত্রা অনেক বেশি। কিন্তু যারা মাদক প্রতিরোধ করবে তাদের সংখ্যা খুবেই কম। উক্ত মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অফিসের জনবল আরো বাড়াতে হবে। এবং বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। তার পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ৮ মাস আগে আমাদের অফিস থেকে বিপুল পরিমান মাদক দ্রব্য চুরি হয়েছে। সেই ঘটনার সাথে কারা জড়িত ছিল এবং কাদের ইশারাই ঘটনাটি সংঘটিত করা হয়েছিল সেই সন্ধান এখনো আমরা খুঁজে পায়নি। তাই আমাদের দাবি, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সঠিক ও সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করলে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের বাহির করে আনা সম্ভব হবে।
পাঠকের মতামত: