গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ :::
টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও টেকনাফ ভুমি অফিস পরিদর্শন করলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন।
গতকাল ২৬ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০ টায় কক্সবাজার থেকে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার মান, প্রতিষ্টান গুলোর বিভিন্ন সমস্যা ও টেকনাফ উপজেলার সরকারি কাজের বিভিন্ন উন্নয়নের বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেই গুলো দেখার জন্য এক ঝটিকা সফরে টেকনাফে আসেন। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে আসার পথে সর্ব প্রথম টেকনাফ শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও শিলখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিকমত পাঠদান হচ্ছে কিনা, স্কুলের বিভিন্ন সমস্যা গুলো ক্ষতিয়ে দেখেন। এর পর সকাল ১১টায় টেকনাফ ভুৃমি অফিস পরিদর্শনে আসেন, টেকনাফ ভুমি অফিসের বিভিন্ন সমস্যা চিত্র তুলে ধরেন, এবং কিভাবে সাধারণ মানুষ ভুমি অফিস থেকে সহযোগীতা পাবে, কিভাবে টেকনাফ ভুমি অফিস দালাল মুক্ত থাকবে, ভুমি অফিস থেকে কিভাবে মানুষ হয়রানী থেকে মুক্তি পাবে, সেই সমস্ত বিষয়ে ভুমি অফিসের কর্মকর্তাদের প্রতি দৃষ্টি রাখার জন্য আহবান জানান। তার পাশাপাশি নামজারি, সৃজন খতিয়ান ও খাজনা আদায়ে কোন সাধারণ মানুষ যেন হয়রানীর শিকার না হয় এবং দালালের খপ্পরে না পড়ে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকারও তাগিদ দেন। এসময় তিনি আরো বলেন, ১৯৯৪ সনে জরীপকৃত দিয়ারা খতিয়ান নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ইহা সরকারের চলমান প্রক্রিয়া। দিয়ারা জরীপে যদি কোন ভুল ক্রুটি থাকে তাহলে সঠিক কাগজপত্র দিয়ে ভূমি মালিকগণ সংশোধন করতে পারবেন। এই বিষয়ে কোন সমস্যা সৃষ্টি কিংবা ভুমি মালিকদের দুর্ভোগে পড়ার কিছু নেই। ভূমি অফিস পরিদর্শন শেষ টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, টেকনাফ মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন। এসময় তিনি স্কুল শিক্ষকদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন এবং স্কুলের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নীত করেন। উপস্থিত শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছে এত সুন্দর একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান দিন দিন কেন নীচে নেমে যাচ্ছে এই বিষয়ে প্রশ্ন করেন। এবং স্কুলের শিক্ষক সংকট নিয়েও কথা বলেন, খুব শিঘ্রই শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এর পর তিনি সাবরাং হাই স্কুল যান। এসময় অত্র স্কুলের বিভিন্ন শ্রেনী কক্ষ পরিদর্শন করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে ধরেন এবং তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। ছাত্র-ছাত্রীরা সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় অত্র স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি তিনি দু:খ প্রকাশ করেন। এবং শিক্ষারমান বাড়ানোর জন্য শিক্ষকদের প্রতি জোর দাবি জানান। শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলো পরিদর্শন শেষ করার পর ভেঙ্গে যাওয়া শাহপরীরদ্বীপের বেড়ীবাঁধ পরিদর্শন করেন, তার পর তিনি সংবাদকর্মীদের উদ্দ্যোশে বলেন, খুব শিঘ্রই শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাধঁ পুর্ণ নিমার্ন করা হবে তার পাশাপাশি আমাদের সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে সরকারের দেওয়া ১০৬ কোটি টাকা যেন নষ্ট ও লুটপাট না হয়। তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমে কাজ না করে শুষ্ক মৌসুমের মধ্যে কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে বাঁধ নির্মান কাজ শুরু করতে পারলে এই বাধঁ ঠিকসই ও মজবুত হবে। আমি থাকা অবস্থায় বর্ষা মৌসুমী বড়ীবাঁধ নির্মানের কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে জানান। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কাজ করা হবে। এবং আমি চেষ্টা করব এই কাজটি সেনাবাহীর মাধ্যমে করার জন্য। এসময় ডিসি আলী হোসেনের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আলম, সহকারী কমিশনা (ভূমি) মোমেনা আক্তার, মডেল থানার ওসি মোঃ আবদুল মজিদ, উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল আবছার, টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম বাহাদুর ও মিডিয়াকর্মীগন।
পাঠকের মতামত: