টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে বিবাদমান দু‘গ্র“পের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে ১জন নিহত ও ১০জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও অস্ত্রের মহড়ায় স্থানীয় জনসাধারণ চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩জনকে আটক করেছে।
জানাযায়-২মার্চ সকাল পৌনে ১০টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নে পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়াস্থ কোনার পাড়ার মৃত তোরাব আলীর পুত্র আবু ছিদ্দিক গংয়ের কয়েকজন সদস্য পূর্ব বিরোধের জের ধরে খারাংখালী বাজারে প্রতিপক্ষ গংয়ের লোকজনকে ধাওয়া করলে দু‘পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষের লোকজন দা-কিরিচ,লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এমতাবস্থায় উভয়পক্ষ থেকে ৭/৮ রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পৃথকভাবে গুলিবিদ্ধ,দারকোপ ও লাঠির আঘাতে উভয় পক্ষের আবু ছিদ্দিক গ্রুপের আবু ছিদ্দিক,আব্দুর রহমানের পুত্র শাহ আলম (৩৭),প্রতিপক্ষ গ্র“পের জালাল আহমদের পুত্র জয়নাল(২৪),কালা চাঁদের পুত্র মোঃ রফিক (২৬),মৃত উলা মিয়ার মেয়ে নুর নাহার (২৬),আবুল হাশেমের স্ত্রী খুরশিদা বেগম কুলি (২৮), মোহাম্মদ সোলতানের পুত্র আব্দুল্লাহ (১৭),মৃত নাজির হোছনের পুত্র আবুল মঞ্জুর (৩৫),নুরুল ইসলামের পুত্র নুর মোহাম্মদ (১৭),আবুল বশর (১৫) ও নাছর পাড়ার মোহাম্মদ হোছনের পুত্র ছৈয়দ হোছন (৩২) আহত ও রক্তাক্ত হয়। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া এএসপি সার্কেল আব্দুল মালেক মিয়া,টেকনাফ মডেল থানার ওসি আব্দুল মজিদ,ওসি (তদন্ত) কবির হোসেন,হোয়াইক্যং ফাঁড়ির আইসিসহ পুলিশের বিশেষ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনাস্থল হতে সম্ভঅব্য ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে চিকিৎসা নিতে যাওয়া গুলিবিদ্ধ জয়নাল কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর সাড়ে ১২টারদিকে মৃত ঘোষণা করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার জয়নাল পক্ষের মধ্যে কান্নাররোল ও চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ক্ষুদ্ধ লোকজন আবু ছিদ্দিক পক্ষের বসত-বাড়িতে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট চালায় বলে বাড়ির মহিলারা অভিযোগ করেন। এর আগেও কয়েক দফায় এই গ্র“প সমুহের মধ্যে পৃথক হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটে আসছিল। এরই জেরধরে এই জাতীয় ন্যাক্কারজনক ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লাশ পোস্ট মর্টেম শেষে গ্রামের বাড়িতে এলে দাফন করা হবে। এরপর মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা গেছে। এদিকে বিবাদমান ২টি পক্ষ আবারো হামলা-পাল্টা হামলার আশংকায় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাশ্ববর্তী পাহাড়ী আস্তানায় অবস্থান করছে বলে বিশেষ সুত্রে জানায়।
পাঠকের মতামত: