টেকনাফের ১৭ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৮ আগষ্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাচঁদিন ধরে কক্সবাজারের একটি হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। পরে ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে কৌশলে হোটেল থেকে পালিয়ে ঘরে ফিরে আসে। এ ব্যাপারে ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার টেকনাফ মডেল থানায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছে।
জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং নয়া গ্রামের বাসিন্দা কক্সবাজার কামিল মাদ্রাসার ১ম বর্ষের ছাত্রী গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার সময় মাদ্রাসা যাওয়ার জন্য বের হয়। এ সময় একটি অটোরিক্সায় কক্সবাজার যাচ্ছিলো একই গ্রামের নুরুল হুদার মেয়ে আনোয়ারা বেগম ঢুনি। ঢুনি মাদ্রাসা ছাত্রীটিকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ওদের অটোরিক্সায় উঠতে বলে। সেও সরল ভাবে অটোরিক্সায় উঠে। কিন্তু টেকনাফ -কক্সবাজার সড়কের লম্বাবিল টেচ্ছিব্রীজ এলাকায় পৌছাঁ মাত্র ওই অটোরিক্সাটি থামায় এবং গাড়ীতে নয়া পাড়া এলাকার জালাল আহমদের ছেলে মহিদ আলমসহ আরো কয়েকজন উঠে। ভিকটিমকে মূখ চেপে ধরে মারধর করে জোরপূর্বক নিয়ে যায় কক্সবাজারের ঝাউতলাস্থ একটি হোটেলে। সেখানে পাচঁদিন ধরে একাধিকবার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে মুহিদ আলমের অবর্তমানে কৌশলে হোটেল থেকে পালিয়ে আত্বীয়ের সহযোগিতায় নয়াপাড়া নিজ বাড়ীতে পৌছেঁ। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দু’জন জ্ঞাতসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে। টেকনাফ মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: