ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফের ওসির ‘ইয়াবা প্রীতি’

Nupa-News-Pic-1-300x169কক্সবাজার প্রতিনিধি :::: Nupa News Pic (1)
প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক সহ সকলেই মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে জিরো টলারেন্সে নিয়ে আসার ঘোষনা করে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালালেও টেকনাফে তার উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
বিশেষ করে টেকনাফ থানায় ওসি হিসেবে মো. আবদুল মজিদ যোগদানের পর এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ও মানবপাচারকারিদের সাথে সখ্যতা তৈরীর অভিযোগ রয়েছে। ওসির সখ্যতার কারণে টেকনাফে  ইয়াবা গডফাদাররা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এর জন্য ইতিমধ্যে নানা মহল থেকে ওসির অপসারণের দাবিও উঠেছে। কিন্তু এর মধ্যে টেকনাফ থানার ওসির ‘ইয়াবা প্রীতি’ প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। তিনি এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত শীর্ষ এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেছেন। যা অতীতের সকল ওসির রেকর্ড ভঙ্গ বলে মন্তব্য অনেকের।
সূত্র জানিয়েছে, ২০১৩ সালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৬ এর এক স্মারকপত্রের সূত্রে মাদকদ্রব্য অধিদফতরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (অপারেশন ও গোয়েন্দা) প্রণব কুমার নিয়োগী স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদনে ৭৬৪ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকা তৈরী করা হয়। যাতে টেকনাফ পৌরসভার কুলালপাড়া গ্রামের ৭ নম্বরের তালিকায় নাম রয়েছে এমন একজন ব্যক্তি নুরুল আবছার। তার পিতার নাম ইউনুছ। তার বাড়ি টেকনাফ পৌরসভার কুলালপাড়া গ্রামে। তাকে এলাকায় সবাই চেনে নুরসাদ হিসেবে।  তিনি ওই তালিকার এক নম্বরের র্শীষে থাকা গডফাডার সাইফুলের আত্মীয়ও। টেকনাফে ইয়াবার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান শুরু হলে এ শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মগোপনেও গিয়েছিলেন। কিন্তু গত ২৫ মে টেকনাফ পৌরসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কাউন্সিলন নির্বাচিত হওয়ার পর অনেকেই অনেককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর প্রবণতা দেখা গেলেও পুলিশ কর্মকর্তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নুরুল আবছার প্রকাশ নুরশাদ নামের এ কাউন্সিলর। আর এ ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যাকে  টেকনাফ থানার ওসির ইয়াবা প্রীতি বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।

পাঠকের মতামত: