এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
কক্সবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ওইসময় হামলাকারীরা অফিসে ঢুকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে চার শ্রমিক নেতাকে মারধর করে অফিসের আলমিরা ভেঙ্গে লুটে নিয়ে গেছে নগদ সাড়ে ৩লাখ টাকা। গত ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে দশটার দিকে কক্সবাজার বাসটার্মিনাল সংলগ্ন শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি: ২১২৯) অফিসে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।
আহত শ্রমিক নেতারা হলেন কক্সবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেফায়েতুল আলম বাবু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ছৈয়দ আকবর ও সমিতির সদস্য আবু বক্কর।
সংগঠনের অফিসে ঢুকে হামলা ও লুটপাটের এ ঘটনায় গতকাল ১০ অক্টোবর সমিতির সভাপতি শেফায়েতুল আলম বাবু বাদি হয়ে সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কক্সবাজার সদর আদালতে ৫জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়ার মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে তাহের আহমদ, তাঁর সহযোগি একই ইউনিয়নের দরগাপাড়া এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, নতুন বাহারছড়া এলাকার মৃত ছৈয়দুর রহমানের ছেলে আবু শামা, বান্দরবানের লামা উপজেলার মৃত হামিদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী ও কক্সবাজার পৌরসভার বাহারছড়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে খোরশেদ আলম শামীম।
আদালতের বিচারক বাদির নালিশী মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদি কক্সবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেফায়েতুল আলম বাবু জানান, অভিযুক্ত আসামিরা বেশ কিছুদিন ধরে বাদির কাছ থেকে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। তাঁরা কয়েকবার সংগঠনের অফিসে এসে দাবিকৃত টাকার জন্য বাদিসহ ইউনিয়নের আরো কয়েকজন নেতাকে নানাভাবে হুমকি দেন। কিন্তু তাদের কথা মতো চাঁদার টাকা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর কাটাবন্দুক ও ধারালো অস্ত্র হাতে অফিসে এসে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। ওইসময় বাদিসহ আহত শ্রমিক নেতারা অফিসে বসে সংগঠনের বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ করছিলেন।
বাদি মামলার আর্জিতে আরো জানান, অফিসে ঢুকে তাঁরা প্রথমে হামলা চালিয়ে বাদিসহ চার শ্রমিক নেতাকে মারধরে গুরুতর আহত করে। পরে তাঁরা অফিসে রক্ষিত আলমিরা ভেঙ্গে সেখান থেকে নগদ সাড়ে ৩লাখ টাকা ও সমিতির মুল্যবান কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়। চলে যাওয়ার সময় অভিযুক্তরা সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে খালী স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায় করে নেয়। ঘটনা নিয়ে মামলা মোকাদ্দমায় গেলে বাদিসহ আহত শ্রমিক নেতাদেরকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত আসামিরা। #
পাঠকের মতামত: