নূরুল আমিন হেলালী :::
প্রকৃতির বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় টানা বর্ষণের পর কয়েকদিনের সূর্য্যরে হাসির সাথে হাসি ফুঠেছে ঈদবাজারে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ক্রেতাসমাগমের অপেক্ষায় থাকা ব্যাবসায়ীদের চোখে-মূখে। শহরের বিপনি বিতান গুলোতে ঘুর্ণিঝড়ের মন্দা কাটিয়ে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদবাজারের কেনাকাটা। গতকাল শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতান ঘুরে দেখা গেছে সব বয়সী এবং সব শ্রেণি পেশার মানুষের কেনাকাটায় সরগরম হয়ে ওঠেছে বিভিন্ন বিপনি বিতান। অন্যদিকে বাড়তি চাহিদার কারণে দোকানীরাও বাহারি পোশাকে পসরা সাজিয়েছেন নানা রঙে, নানা ঢঙে। পছন্দের পোশাক কিনতে বিপনী বিতান গুলোতে আগে ভাগেই ঢুঁ মারছেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। অন্যদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে আগে থেকেই বর্ণিল সাজে সাজিয়েছে সবকটি বিপনী বিতান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। পর্যটন নগরী খ্যাত এ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক পরিবারের সদস্য থাকেন প্রবাসে। একদিকে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর অন্যদিকে প্রবাসে থাকা লোকজন, তাই তুলনামূলক সচ্ছল বলেও পরিচিত কক্সবাজার জেলার মানুষ। তাই বছর ঘুরে রমজান আসলে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক পরিবারও জমানো টাকা নিয়ে কেনাকাটা করতে ছুটে আসেন শহরের অভিজাত মার্কেটগুলোতে। আকর্ষনীয় পোশাকের সংগ্রহও রয়েছে মার্কেটের প্রতিটি দোকানে। কিন্তু রমজানের শুরু ও মাঝামাঝিতে আষাঢ়ের ভারী বর্ষণে জেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যা প্লাবিত হওয়ায় ঈদবাজারে বন্যার প্রভাব পড়লেও গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে প্রত্যেক শপিংমলে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। ঈদবাজারের এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়ীরাও চোখ ধাঁধানো আলোক সজ্জা করে সাজিয়েছেন নিজের বিপনী বিতান। মার্কেটগুলোর অধিকাংশ দোকানে রয়েছে দেশী-বিদেশী কাপড়ের সমারোহ। কথায় আছে মেঘের কোলে রোদ হেসেছে, তেমনি কয়েকদিনের মৌসুমি বৃষ্টির পর রোদেলা দিনে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটাতে অনেকেই এসেছেন ঈদের নতুন পোশাক কিনতে। দেখা গেছে সব মার্কেটের প্রবেশ মুখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বাহারি ডিজাইনের সাজ সজ্জাও করা হয়েছে। কয়েকজন ব্যবসায়ির সাথে কথা বলে জানা যায় গত রোজার ঈদের চাইতে এবার ঈদে বিক্রয় অনেক কম। তবে কয়েকদিনের সুন্দর আবহাওয়ার আমেজ থাকার কারণে বিক্রি অনেকাংশে বেড়েছে। যদি বৃষ্টি না থাকে তবে কেনাকাটা আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তারা। ঈদগাহ বাজারের সৌখিন টেইলার্সের সত্বাধিকারী নুরুল আবছার জানায়,যেভাবে তাদের প্রত্যাশা ছিল সেভাবে ব্যাবসা হয়নি। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ কাপড়সহ অন্যান্য নিত্য পণ্যর দাম বেশী। ঈদগাহ থেকে কেনাকাটা করতে আসা স্কুল শিক্ষিকা শাহিমা বেগম ও কলেজ ছাত্রী নাহিদা জানান, রোদ থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পছন্দের কাপড় ছোপড় কিনতে এসেছি। তবে কাপড়ের দাম বেশী চাইছে ব্যবসায়ীরা। অনেক দোকানে বিক্রয় মূল্যের চেয়ে ৩/৪ গুণ বেশী দাম চেয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। পছন্দের জিনিষ কিনতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঠকছেন ক্রেতারা। শহরের অভিজাত মার্কেটগুলোর মধ্যে সী-কুইন, ইডেন গার্ডেন, নিউ মার্কেট, ফজল মার্কেট, হাজেরা শপিং মল, আবু সেন্টার, কোরাল-রীফ প্লাজা, এ. ছালাম মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট, বার্মিজ মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপনী বিতানে ঈদ উপলক্ষে দেশী-বিদেশী পণ্যের সমাহার চোখে পড়ার মত।
পাঠকের মতামত: