প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
মাদ্রাসার ছেলেরা জঙ্গিবাদী নয়। তারা জঙ্গিবাজি করে না। মাদ্রাসায় জঙ্গিবাদের শিক্ষা দেওয়া হয় না। সাম্প্রতিক সময়ে যেসব জঙ্গী ধরা পড়ছে তারা কেউই মাদ্রাসার নয়। এর থেকে প্রমাণ হয়, মাদ্রাসায় মানবতার শিক্ষা দেয়া হয়। ইহকালের শান্তি ও পরকালের মুক্তির শিক্ষাই দেয়া হয়। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনের প্রথম দিনের ওয়াজে ইসলামী বক্তারা একথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, দুনিয়া নিয়ে মশগুল থাকলে হবে না। মানবসৃষ্টির উদ্দেশ্য দুনিয়া নয়; পরকালীন জীবনই মানবতার জন্য প্রকৃত জীবন। তাই দুনিয়াকে প্রধান্য না দিয়ে আখেরাতের মুক্তির জন্য কাজ করতে হবে। এর মাধ্যমে নিজ ও পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে হবে।
ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ- কক্সবাজার জেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজার ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত ৩৩তম ইসলামী মহাসম্মেলনের প্রথম দিনের প্রথম অধিবেশনের ওয়াজ পেশ করেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম, রামু জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলম মাদ্রাসার মাওলানা এজাজুল করিম, রামু চাকমারকুল জামেয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার মাওলানা হারুন। সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার রহমানিয়া মাদ্রাসার বড় হুজুর মাওলানা হুছাইন। দ্বিতীয় অধিবেশনে ওয়াজ পে লোহাগাড়া রাজঘাট মাদ্রাসার মুফতী হাবিবুল ওয়াহিদ। সভাতিত্ব করেন, জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবুল হাছান। তৃতীয় অধিবেশনে ওয়াজ পেশ করেন- টেকনাফ জামেয়া ইসলামিয়ার পরিচালক মুফতি কিফায়াত উল্লাহ শফিক, বি.বাড়িয়া মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুঈনুল ইসলাম খন্দকার। সভাপতিত্ব করেন, চকরিয়া চিরিঙ্গা মাদ্রাসার মাওলানা আনোয়ার আলম। শেষ অধিবেশনে ওয়াজ পেশ করেন- দেশের প্রখ্যাত মুফাচ্ছিরে কোরআন আল্লামা হাফেজ জুবাইর আহামদ আনছারী ও বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ বহুল আলোচিত জুনাইদ আল হাবীব। সভাপতিত্ব করেন টেকনাফ জামেয়া ইসলামিয়ার পরিচালক মুফতি কিফায়াত উল্লাহ শফিক।
৩৩তম ইসলামী মহাসম্মেলনের প্রথম দিনে বিপুল মানুষ ওয়াজ মাহফিলে যোগ দেন। এছাড়াও বিভিন্ন গণমান্য ব্যক্তিবর্গ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: