ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

জালালাবাদে ত্রাণ ও ভিজিএফ কার্ড বঞ্চিত অসহায় লোকজনের মানবন্ধন

Image-1ঈদগাঁও প্রতিনিধি ::

কক্সবাজার সদরের জালালাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। শনিবার ২৪জুন বিকেলে তারা রাস্তায় নেমে মানবন্ধন করেছে। চেয়ারম্যান কর্তৃক পরিকল্পিত ভাবে সরকারি ত্রাণ ও ভিজিএফ কার্ড হতে বঞ্চিত এবং নানা অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ কর্তৃক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের লোকজনকে সরকারি ত্রাণ ও ভিজিএফ কার্ড সহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত করে আসছে। এতে করে সুবিধাভোগী অসহায় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। অন্যান্য ওয়ার্ড সমূহে ত্রাণ ও কার্ড বরাদ্ধের প্রাপ্য উত্তোলনের কাজ ডিলেঢালা ভাবে চললেও ৪নং ওয়ার্ডে কেন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি তার জবাব প্রশাসনের কাছে চেয়েছেন। মনবন্ধনে অংশ নেয়া মোক্তার আহমদ, বেলাল উদ্দিন, নুরুল হক, জুহুরা খাতুন, হাজেরা খাতুন, শফিকা সহ অনেকে জানান, আমরা জালালাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা হয়ে ও ইউপির সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছি। পবিত্র রমজানের শেষে ঈদ মৌসুমে ও চেয়ারম্যান আমাদের প্রাপ্য সুবিধা হতে বঞ্চিত রেখেছে। এর জন্য এই মানবন্ধনের মাধ্যমে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ উসমান সরওয়ার ডিপোর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমি প্যানেল চেয়ারম্যান-১ নির্বাচিত হওয়ায় চেয়ারম্যান তা সহ্য করতে না পেরে বাতিল করার বিভিন্ন অপকৌশল চালিয়েও ব্যর্থ হয়। আমি জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করে দীর্ঘ সাত মাস পর উক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান-১এর বৈধতা রক্ষা করি। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের অধীন বাজার এলাকার ইজারা সহ নানান দূর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি কথা বলায় চেয়ারম্যান রাশেদ আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। প্যানেল-১কে বাদ দিয়ে প্যানেল-২কে দায়িত্ব প্রদান, তাকে প্রশিক্ষণে প্রেরণ সহ আমার ওয়ার্ডের ত্রাণ ও কার্ডে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি সচিব মোস্তাক আহমদ প্রাপ্ত ভিজিএফ তালিকায় অতিদরিদ্র ও অসহায় মানুষের নাম তুলেননি। আমার ওয়ার্ডে ত্রাণ ও ভিজিএফ কার্ড উন্নয়ন কর্মকান্ড বরাদ্দ না দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রশাসনের কাছে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।

পাঠকের মতামত: