ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুল হামিদের স্মরণ সভা

জাতির পিতার ভাস্কর্য্য বুড়িগঙ্গায় নয়, জিন্নাহর ভাস্কর্য্য সিন্ধু নদীতে ফেলার পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা রেজাউল করিম বলেছেন, যারা জাতির পিতার ভাস্কর্য্য বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলার হুমকি দেন ? তাদেরকে আগে পাকিস্তানী মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ভাস্কর্য্য সিন্ধু নদীতে ফেলতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী এই অপশক্তির উস্কানিমুলক বক্তব্য জাতিকে বিভক্ত করা ছাড়া আর কিছু নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কাকারা ইউনিয়নের শাহওমরাবাদ মাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুল হামিদের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজবাউল হক, সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবছার উদ্দিন মাহমুদ, চকরিয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জিহান, কাকারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নাজেম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম নুর নোবেল, মাষ্টার হারুন চৌধুরী, মো: হাসান, আহমদ পুতু, মো: শাহীন, ইমতিয়াজ আহমদ, মো: মুবিন, ছাত্রলীগ নেতা মো: নিশাত।

পরে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম দলীয় নেতাকর্মীসহ এডভোকেট রফিকুল ইসলামের পরিবারের সাক্ষাত ও মেজবানে অংশগ্রহণ করেন।

এদিন বিকাল তিনটার দিকে তিনি শহীদ আবদুল হামিদের জন্মভূমি বমুবিলছড়িতে যান। সেখানে তার পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। ওইসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রেজাউল করিম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আবদুল হামিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধে কাদের অবদান ছিলো। নতুন প্রজন্ম ইতিহাস না জানলে অপূর্ন থেকে যাবে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস।

তিনি আরও বলেন, চকরিয়ার গৌরব শহীদ আবদুল হামিদ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি যুদ্ধকালীন সময়ে অসুস্থ মাকে দেখতে এসে দেশীয় রাজাকার-আলবদর বাহিনীর হাতে আটক হন। পরবর্তীতে রাজাকার-আলবদর বাহিনী পাকিস্তানীদের হাতে তুলে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদকে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুল হামিদকে অমানষিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে ১৯ নভেম্বর হত্যা করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, শহীদ আবদুল হামিদের ছোট ভাই, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনজুর কাদের, বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা কফিল উদ্দিন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হক, বেলাল উদ্দিন, ছাত্রলীগ বেলাল। রেজাউল করিম বিকাল ৪টার দিকে বমুবিলছড়ি ফুটবল খেলা উদ্বোধন করেন।

 

পাঠকের মতামত: