শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার:
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নগরী কক্সবাজার। পাশাপাশি দেড়শবর্ষীয় কক্সবাজার পৌর শহরের রাস্তাঘাটের এখন বেহাল দশা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়ক গুলোর বিটুমিন উঠে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। নালাগুলো প্রায়ই দখল এবং ভরাট হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে যায় পুরো পর্যটন শহর। ভাঙ্গা সড়কে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ পৌরবাসী।
ঠিকাদারদের গাফিলতি আর পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। তবে পৌর মেয়রের দাবী, আগামী কিছুদিনের মধ্যে পৌর এলাকার সকল সড়ক চলাচলের উপযোগী করা হবে।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল সড়কটির এখন বেহাল দশা। রাস্তাটিতে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের কারণে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একই দশা ব্যস্ততম প্রধান সড়ক, পৌর এলাকার মডেল থানার পেছনের সড়ক, এন্ডারসন সড়ক, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সড়ক, গার্ল হাইস্কুল সড়ক, মধ্যমবাহারছড়া সড়ক, গোলদীঘির পাড় সড়ক ও রুমালিয়ারছড়াসহ বেশ কয়েকটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের ।
মধ্যবাহারছড়া সড়কের উভয় পাশের নালা দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানি চলে আসে রাস্তার উপর। প্লাবিত হয় বাহারছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। ভাঙ্গাচোরা এসব সড়কদিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পৌরবাসী।
ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক মেরামতে এক বছর আগে টেন্ডার হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা কাজ শুরু করেন অনেক দেরিতে। কাজের ধীর গতিসহ নানা অজুহাতে কাজ বন্ধ রাখায় ক্ষোভের শেষ নেই স্থানীয়দের।
কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর আশাবাণী শুনিয়ে বলেন, আগামী কিছু দিনের মধ্যে পৌর এলাকার সড়কগুলোকে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে। কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে।
পাঠকের মতামত: