কাফি আনোয়ার ::
কক্সবাজার সদরের জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ হামলার শিকার হয়েছেন।
রবিবার (১৭ জানুয়ারী) বিকাল ৪টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে।
আহত রাশেদ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে যায়। কমলের নেতৃত্বে থাকা নেতাকর্মীদের বহরে জালালাবাদ চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদসহ সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমানও ছিল। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সাথে সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদু জড়িত বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান রাশেদ।
তিনি জানান, মাদুর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত অবস্থায় প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, কিছু বুঝে উঠা আগেই মারধরে আহত রাশেদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র লাঠি,রড়, হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে তার উপর আক্রমণ চালায়।
ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
হামলার ঘটনায় রাশেদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের একটি আইফোন ১০ ও পকেটে থাকা ৩৭ হাজার ৫৭০ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদের উপর হামলার সংবাদ মুহুর্তেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথে বিক্ষুব্ধ ঈদগাঁহ, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ ও আশপাশের এলাকার জনতা বিক্ষোভ মিছিল রেব করে এবং ঈদগাঁও বাজার, ঈদগাঁহ বাসস্টেশন, কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়ক অবরোধে ফলে আটকে পড়ে শতশত দুরপাল্লার গাড়ি।
বিক্ষোভকারীরা শ্লোগানে শ্লোগানে ঈদগাঁহ বাসস্টেশনে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। ঈদগাঁহ বাসস্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণে মহাসড়কে) প্রায় ২০ কিমি পর্যন্ত তীব্র যানজট লেগে থাকে।
ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
পাঠকের মতামত: