ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া-বদরখালী সড়কের সাহারবিলে কাদায় ভরা জনদুর্ভোগ চরমে

অনলাইন ডেস্ক :: চকরিয়া-বদরখালী (কেবি জালাল উদ্দিন) সড়কের সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সামনের অংশে এবড়ো-থেবড়ো সড়ক, তার ওপর কাদামাটিতে একাকার হয়ে পড়ায় মানুষ ও যানবাহন চলাচলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছেেএ।

এখানে নির্মাণাধীন রেললাইনের ওভারপাস সড়ক নির্মাণকাজ পরিচালনার সময় যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ না করায় দীর্ঘ দেড়বছর ধরে এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলরত যানবাহন ও যাত্রী-সাধারণকে। এ ভোগান্তি যেন স্থায়ী রুপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।

এসড়কে দুর্ভোগের শিকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পাশে নির্মাণাধীন ওভারপাস সড়কসহ রেললাইনের চলমান কাজ পরিচালিত হচ্ছে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ না করেই। এতে গত দেড় বছর ধরে চরম দুর্ভোগে নিপতিত হয়েছেন স্থানীয় লোকজন। শুষ্ক মৌসুমে প্রচণ্ড ধুলাবালি, বর্ষায় ভয়াবহ কাদামাটিতে একাকার হয়ে রয়েছে এবড়ো-খেবড়ো সড়কটি।

সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী দৈনিক চকরিয়া নিউজকে বলেন, গত কয়েকদিনের হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতে পাহাড়সমান উঁচু রেললাইনের মাটির রাস্তা থেকে কাদামাটি গড়িয়ে সড়কের ওপরে গিয়ে পড়ছে। এতে গ্রামীণ সড়কে চলাচলরত ছোট ছোট যানবাহন তথা রিকশা, অটোরিকশা, টমটম, সিএনজি, ইজিবাইক ওই স্থান দিয়ে পার হতে পারছে না। কাদার কারণে এ সড়ক দিয়ে  সাধারণ মানুষও পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারছে না । এই অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনাও দূরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাহারবিল ইউপির চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে অসংখ্যবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। এতে জনসাধারণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। অচিরেই এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে মানুষ রাস্তায় নামবে। এসব বিষয় স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের অর্ধেকাংশের নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিষয়টি তারা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। তবে জনদুর্ভোগ লাঘবে কী করা যায় তা রেললাইন প্রকল্পে নিয়োজিতদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: