চকরিয়া উপজেলার বদরখালীতে ধর্ষণের ঘটনার মামলাকে কেন্দ্র করে ত্রিমূখী সংঘর্ষের আশংকা দেখা রয়েছে। ইতি মধ্যে দুই পক্ষ চকরিয়া থানায় জিডি করেছেন। শিশু ধর্ষণের মামলায় মূল গঠনা কারীর ¯’ানে ও শিশুর পালক পিতা আসামী হয়ে জেল এ যাওয়ায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ঢেমুশিয়া পাড়া এলাকার মোঃ আবদুল কাদেরের ছেলে দিদারুল ইসলামকে ধর্ষণ মামলায় গত ২৩ নভেম্বর পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। এই ঘটনায় আটক হওয়া দিদারুল ইসলামের স্ত্রী রেহানা শাহীন রিমা জানান, বদরখালী ইউনিয়নের শহরীয়া পাড়া এলাকার মৃত আবদুল খালেকের সন্তানেরা রেহানা শাহীন রিমা, হোসনে মর্জিনা সুমি মামলার বাদী মোঃ মহিউদ্দিন রিয়াদ আপন ভাই বোন হয়। এদের মধ্যে হোসনে মর্জিনা সুমির সাথে গত ১৫ বছর পূর্বে কক্সবাজার খুরুশকুল এলাকায় নুরুল হকের সাথে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর পর তাদের সংসার বি”েছদ ঘটে।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্বামী স্ত্রী দুই জনেই অন্যত্রে বিবাহ করে সংসার করে। এদিকে তাদের ২টি কন্যা সন্তানেরা অসহায় হয়ে পড়ে। এই অব¯’ায় ২টি কন্যা শিশু থেকে একজন হোসনে মর্জিনা সুমির ছোট বোন রেহানা শাহীন রিমা বদরখালী¯’ ঢেমুশিয়া পাড়া শাশুড়ীর বাড়িতে নিয়ে আসে লালন পালন করতে থাকে ঐ কন্যা শিশুর নাম সায়মা বিনতে শুভা। ধারাবাহিক ভাবে (ভাগ্নি) শুভাকে পালক পিতা দিদারুল ইসলাম বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে পড়া লেখা চালিয়ে আসছিল। গত ১ নভেম্বর ঢেমুশিয়া পাড়ার মৌলভী শামসুদ্দিন এর পুত্র মফিজ উদ্দিন (প্রকাশ কালু মাঝি) (ভাগ্নি) সায়মা বিনতে শুভাকে রাত ৮ টার দিকে অপহরণ করে অজানার উদ্দেশ্যে নিয়া যায়।
রিমা জানান, সম্ভাব্য ¯’ান খবরা খবর নিয়ে ৪দিন পর পালক পিতা দিদারুল ইসলাম তার সহপাঠীদের সাথে নিয়ে মহেষখালী উপজেলার শাপলা পুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মৌলভী কাটা গ্রাম থেকে ¯’ানীয় এম ইউ পি মাহমুদ হোসেন এর সহযোগীতায় মৃত শফি আলমের স্ত্রী শাহাজান বেগমের বাড়ি থেকে উর্দ্ধার করে বদরখালী ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান খাইরুল বশরকে অবগত করে পালক পিতা মহিউদ্দিনের বাড়িতে নিয়ে আসে এর পর কালু মাঝির পরিবারের লোকজন মহিউদ্দিনের সাথে আপোষ মিমাংশা প্রস্তাব দেয়। এই ঘটনাটি ৯০ হাজার টাকার বিনিময় নন জুড়িসিয়ার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ¯’ানীয় সাবেক এম ইউ পি কবির আহামদের মধ্য¯’তায় ৪ জন স্বাক্ষী রেখে আপোষ মিমাংশা করে নেয়।
এদিকে শুভার মামা মোঃ মহিউদ্দিন রিয়াদ পুলিশ কে খবর দিয়ে শুভাকে উর্দ্ধার করে শুভার মা অন্যত্রে বিবাহরত চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। এই সুযোগে তার ভাইবোন দের জমি ভাগ বা টুরার বিয়ষটির স্বার্থ আদায়ের জন্য মহিউদ্দিন (ভাগ্নি) শুভাকে ভয় দেখিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মূল ঘটনাকারীর ¯’ানে আপন বোনের জামাই মহিউদ্দিন কে আসামী করেছেন।
এদিকে মামলার বাদী মহিউদ্দিন জানান, ভাগ্নি সায়মা বিনতে শুভাকে ধর্ষণের ঘটনার সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের মাধ্যমে উর্দ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ও.সি.সি) ভর্তি করি। শুভার জবান বন্দি অনুযায়ী মামলাটি রেকর্ড হয় এতে মূল ঘটনাকারী আসামী হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মাহাবুবুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে এলাকায় অনেকে ভিন্ন ধরণের কথা বলতে পারে। তবে মুল অপরাধী কে তা নির্ভর করে ধর্ষণের শিকার (ভিকটিম) এর স্বীকারোক্তির উপর। ভিকটিমকে চিকিৎসা শেষে এনে এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। #
পাঠকের মতামত: