ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে ৩কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণে দূর্ণীতির অভিযোগ

মনির আহমদ, চকরিয়া ::park
নেই সরকারী কোন তদারকি নেই ঠিকাদার। কাজ চালাচ্ছেন মেস্ত্রী আর লেভার মিলে। কর্মক্ষেত্রে দেখা গেছে মাটির ড্রেন করে কোথাও পলিথিন দিয়েছে কোথাও আবার পলিথিন ছাড়াই এক-দেড় ইঞ্চি করে মাটির উপরে সিসি, আরসিসি ঢালাই যেনতেন ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও ভেসে গেছে কচিৎ বৃষ্টিতে। জিজ্ঞেসাবাদের পর কর্মস্থলে উপস্থিত ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের দায়িত্বরত ১৭/১৮ বছর বয়সের মিনি প্রকৌশলী জানালেন তারা কেউ জানেন না সিডিউলে কি আছে।
সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম জানালেন, তিনি এখনো নতুন। সাংবাদিককে বক্তব্য দেয়ার তার কোন একতিয়ার নাই। তারপরও সিডিউল সম্পর্কে জানাতে হলে তাকে আগে জেনে নেয়ার জন্য কয়েকদিন সময় দিতে হবে।
তবে যতটুকু জেনেছি, সাফারি পার্কের কাজের ঠিকাদার কাম প্রকৌশলী কাম কর্মকর্তা একজনই, তিনি হচ্ছেন পার্কেও ফরেষ্টার বিশ বছরের একচ্ছত্র অধিপতি মাজহারুল ইসলাম। ঠিকাদার আছে নাম মাত্র। তার ইশারায় চলে কোটি টাকা লুটপাট। বিশ বছর ধরে একই কর্মস্থলে চাকরি করে তিনি এখন কোটিপতি। তবে ওই ফরেষ্টার বহুবার বদলী ঠেকিয়ে চকরিয়া বঙ্গবন্ধ’ সাফারী পার্কে বহাল তবিয়তে রয়েছে। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ও পাওয়া যায়নি।
ইতিপূর্বে শেষ হওয়া প্রায় বিশ কোটি টাকার কাজও ২/১ বছরের মধ্যে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় কিছু মেরামত আবার কিছু চলতি কাজের অংশে ঢুকিয়ে পুনরায় নির্মান চলছে। সর্বোপরি এবারেও চলছে একই অবস্থা। সরকারের নাই কোন তদারকি। নেই কোন ঠিকাদার। কাজ চালাচ্ছেন মেস্ত্রী আর লেভার মিলে। কর্মক্ষেত্রে দেখা গেছে মাটির ড্রেন করে কোথাও পলিথিন দিয়েছে কোথাও আবার পলিথিন ছাড়াই এক- দেড় ইঞ্চি করে মাটির উপরে সিসি / আরসিসি ঢালাই যেনতেন ভাবে চলছেই। কোথাও কোথাও ভেঙ্গে ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। তারপর ও চলছেই কাজ। চলছে লুটপাট কাহিনী। এ যেন কিছু সরকারী বেসরকারী লুটেরার “দুধের গাই”।

পাঠকের মতামত: