ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া থানার পুলিশ কনস্টেবল এরশাদ স্বস্ত্রীক ৮ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের হোয়াইক্যং চেকপোস্টে আটক

yaba atokচকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::
চকরিয়া থানার পুলিশ কনস্টেবল এরশাদ স্বস্ত্রীক ৮ হাজার ইয়াবাসহটেকনাফের হোয়াইক্যং চেকপোস্টে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলে অপরাধের উর্ধ্বে নয়। সুযোগ পেলে তারাও অপরাধে জড়িয়ে যায় নির্বিঘ্নে।
সোমবার (৭ আগষ্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চকলেটের প্যাকেটে মোড়ানো ২৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা মূল্যের ৮ হাজার ইয়াবাসহ আটক হয়েছেন চকরিয়া থানার পুলিশ কনস্টেবল মোঃ এরশাদ আলম (৩০)। তার সঙ্গে আটক হন স্ত্রী কামরুন নাহার (২২)। তবে অনেকে জানিয়েছেন আটক মহিলাকে স্ত্রী পরিচয় দিলেও সে আসল স্ত্রী নয়। ইয়াবা ব্যবসার সুবিধার্থে ওই মহিলাকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং চেকপোস্টে পুলিশ দম্পতিকে আটক করে বিজিবি।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (৮ আগষ্ট) তাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে। মামলা নং- জিআর -৬৬২।
এ মামলায় অতি গোপনীয়তার সঙ্গে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। মামলাটি টেকনাফ থানার এসআই মোঃ জয়নাল আবেদীন তদন্ত করছেন বলে জানিয়েছেন ওসি মোঃ মাইন উদ্দিন খান।
কনস্টেবল মোঃ এরশাদ আলম কুমিল্লার বুড়িচং পীরযাত্রাপুর এলাকার মৃত আলী আজমের ছেলে। স্ত্রী কামরুন নাহার কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ১ নং ওয়ার্ড ছনখোলা এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে।
আটক মোঃ এরশাদ আলম চকরিয়া থানার পুলিশ কনস্টেবল বলে চকরিয়া নিউজকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ওসি।
ইয়াবা নিয়ে চকরিয়া থানার কনেস্টেবল আটকের ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ারের কাছ থেকে প্রতিবেদক ফোনে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে চকরিয়া নিউজ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
মামলার বাদী ২ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের হাবিলদার মোঃ হায়দার আলী শেখ এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ৭ আগষ্ট রাতে হোয়াইক্যং চেকপোস্টে কক্সবাজারগামী একটি নম্বরবিহীন মাইক্রোবাস সন্দেহ হলে থামায়। পরে মাইক্রোবাসটি থেকে আটক দুইজনকে তল্লাসী করে তাদের সাথে রক্ষিত শর্পিং ব্যাগ থেকে পিনাক চকলেটের প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় ইয়াবাভর্তি ৪০ টি প্যাকেট পাওয়া যায়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
২ বিজিবির অধিনায়ক জানান, উদ্ধার ইয়াবাগুলোর আনুমানিক মূল্য ২৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়। কনস্টেবল এরশাদ আলম দীর্ঘদিন স্ত্রী পরিচয়ে এক মহিলাকে নিয়ে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে।

পাঠকের মতামত: