ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া ও পেকুয়ায় এখনো খোলা পায়খানা,দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

এম নুরুদ্দোজা, চকরিয়া ::images.duckduckgo.com
চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় বেশ কিছু এলাকায় যত্রতত্র খোলা পায়খানা ব্যবহারের ফলে বর্তমানে দূষিত হয়ে উঠছে জনবসতি এলাকা গুলো। চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী, কাকারা, মানিকপুর, বরইতলী, কৈয়ারবিল, উপকূলীয় এলাকার বদরখালী, ডেমুশিয়া,বিএমচর, পূর্ববড়ভেওলা, পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়ন ছাড়া উপজেলা পৌরসভার গ্রাম এলাকায় খোলা পায়খানা ব্যবহার অব্যাহত থাকার কারণে রোগ ব্যধি দেখা দিয়েছে। এসব খোলা পায়খানা গুলো ব্যবহার বন্ধ ও স্বাস্থ্যা সম্মত পায়খানা ব্যবহারের সরকারের কোন উদ্যোগ না থাকার কারণে এর ব্যবহার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চকরিয়া ও পেকুয়ায় উপজেলা ভিত্তিক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি করে অফিস থাকলেও তাদের কার্যক্রম  রয়ে গেছে অফিস কেন্দ্রিক। সরকারের কোষাগার থেকে  নিয়মিত মাসুহারা ও সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন ছাড়া জনসাধারণের কল্যাণে কোন কার্যক্রম নেই বললে চলে। এসব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বিষয়ে কোন পরিদর্শণ বা সঠিক ভাবে সরকারের তদারকি না থাকার কারণে এসব কর্মকর্তারা নাকে ডিগবাজি দিয়ে চলে যাচ্ছে শুধুমাত্র অফিসে খাতা পত্র সই করার মাধ্যদিয়ে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থাকলেও তাদের কোন সহায়তা জনগন পাচ্ছেনা। এলাকায় টিউবওয়েল, ল্যাট্রিন ও পরিচ্ছার কোন খবরা খবর তাদের নেই। সরকারের তরফ থেকে যাহা আসে তাহা বাহিরে দোকানে বিক্রি করে নিজেদের পকেটস্থ করে কাগজে কলমে ঠিক করে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার কিংবা উপজেলা প্রশাসন তাদের কার্যক্রমের কোন খবর না রাখার কারণে এলাকায় খোলা পায়খানার ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
এদিকে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুল বুনিয়া, মাঝের ঘোনা, লম্বা মোড়া, কসাই পাড়া, নাথ পাড়া, হাজীরঘোনা, বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়ীয়াখালী, ভারুয়াখালী, ফাঁশিয়াখালীর সবজীবন পাড়া, কাদিমা কাটা, টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী, মৌলভী বাজার, সোনাইছড়ি, ধইন্যাকাটা, রাজাখালীর সুন্দুরী পাড়া, বকশিয়াঘোনা. লালজান পাড়া, মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নের প্রায় সবক’টি পাড়ায় স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা স্থাপন করা হয়নি।
যেসব এলাকায় স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা রয়েছে, সেসব পায়খানার মল আবর্জনা প্রকাশ্যে ছড়িয়ে বেড়িয়ে পরিবেশকে দূষিত করে ফেলছে।
এছাড়া নদী ঘেরা এলাকাগুলোতে খোলা পায়খানা তৈরী ও ব্যবহারের ফলে মারাত্মক ভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। সাথে মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা রোগের প্রকোপ।
এসব খোলা পায়খানার দূগন্ধের কারণে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থী ছাড়াও বেশ কিছু বাজার, ষ্টেশন ও মসজিদের মুসল্লিরা সঠিক মত নামাজ আদায় ও প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারেনা। দ্রুত দু”উপজেলার গ্রাম গুলোতে খোলা পায়খানা ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে অচিরে মানুষের মাঝে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়বে। এব্যাপারে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবী করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। ##

পাঠকের মতামত: