এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
চকরিয়া থেকে সদ্য বদলি হওয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মো: মোর্শেদ আলমের অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতিপূর্বে দুদক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। ২৩অক্টোবর দিনভর তদন্তের পর আজ ২৪অক্টোবর অনিয়ম দূর্নীতির তদন্ত করবেন দূর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি টিম।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, চৌধুরী মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বিগত ২০১১সাল থেকে চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এর পর থেকে জড়িয়ে পড়েন নানা অনিয়ম দূর্নীতিতে। গত ২বছর পূর্বে থেকে অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন ইউনিয়নের পরিদর্শক-পরিদর্শিকা সহ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নামে বেনামে বিল ভাওচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে আসছেন। এসব অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ে দুদকের অধিদপ্তর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন সদ্য অবসরে যাওয়া পরিদর্শিকা শাহেনা বেগম, বর্তমানে কর্মরত তসলিমা খানম মিনু, জাহানারা বেগম সহ ৪জন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৩অক্টোবর তদন্ত কার্যক্রমে আসেন দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক।
স্থানীয় অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগের বাদী পক্ষের আনিত স্বাক্ষীদের জবানবন্দি না নিয়ে বর্তমান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র, অফিস সহকারী বাপ্পী রানী শর্মাসহ কৌশলে সাফাই স্বাক্ষী দিয়ে জবানবন্দি নিয়েছেন। তদন্ত কার্যক্রমে সরাসরি বিষয়টি বলার পর ফের ২৪অক্টোবর বাদী পক্ষের স্বাক্ষীদের জবানবন্দি নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুদকের তদন্ত কার্যক্রমেও ব্যাপক অনিয়ম জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছেন। সারাক্ষণ দরজা বন্ধ রেখে বর্তমান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র কৌশলে তার আগের অভিযুক্ত কর্মকর্তা চৌধুরী মোর্শেদের সহযোগি কয়েকজনকে তদন্ত কর্মকর্তার সামনে এনে পক্ষপাত মূলক জবানবন্দি নিয়েছেন। এ কারনে অভিযোগের বাদিসহ সচেতন মহল তদন্ত কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দুদকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #
পাঠকের মতামত: