ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের হুমকীতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় স্কুল শিক্ষিকা হুমাইরা আজাদী

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনির অব্যাহত হুমকীতে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীতনায় আছেন বলে অভিযোগ করেছেন একই উপজেলার স্কুল শিক্ষিকা হুমাইরা আজাদী।একই সাথে তিনি নিজের চাকরি ফেরত চেয়ে সরকারের কাছে আহবান করেন গতকাল বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনের তিনি অভিযোগ করেন, আমি গরীব আসহায় সামান্য একজন স্কুল শিক্ষিকা, সর্বোপরি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আপনারা নিশ্চয়ই ্অবগত আছেন আমি ২০০৫ সাল হতে চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট রিংভং দক্ষিন পাহাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিজে প্রতিষ্টা করে সেখানে শিক্ষকতা করে আসছি। উক্ত স্কুল ২০১৩ সালে সরকারিকরণ হওয়ার পর পূর্বে স্কুলে অস্থায়ী ভাবে চাকরী করা এবং পরে চাকরী ছেড়ে দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরী করারত মালেকা বেগমকে স্কুল সরকারি হওয়ার পর চাকরীতে পূর্নবহাল করতে নানান ভাবে চাপসৃস্টি করছিল চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম। যার ফলশ্রুতিতে ২০১৭ সালে ২৮ জানুয়ারী সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম তার স্ত্রী শাহেদা জাফর এবং সাবেক শিক্ষিকা মালেকা বেগম স্কুলে এসে প্রথমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেয়। পরে সেই মালেকা বেগমকে নিয়োগপত্র নিতে বাধ্য করে কিন্তু আমার অক্ষমতা বলার সাথে তারা ৩ জনই আমাকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে আমাকে এক প্রকার বিবস্ত্র করে ফেলে এবং আমাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দেয়। পরে এই জঘন্য ঘটনা পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পেলে আমি তারা ৩ জনকে আসামী করে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করি। সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে সব সময় হুমকি দিয়ে আসছিল কিন্তু ন্যায় বিচারের আশায় হাল ছাড়িনি। সম্প্রতি গত বুধবার(৮ আগষ্ট) নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক জাফর আলম সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে। এতে চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং তার স্ত্রী আমাদের প্রকাশ্য বেইজ্জত করবে এবং জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকী দিচ্ছে। এছাড়া ১১ আগষ্ট নিবাগত রাত ১ টার সময় আমার বাড়ির সামনেএকটি মাইক্রো বাসে করে বেশ কিছু যুবক দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করেছে। এতে আমার ছেলে মেয়েরা ভয়ে ঘর থেকেও বের হতে পারছে না। তাদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সর্বপরি আমি দেশের নাগরিক হিসাবে আমার প্রতি যে অন্যায় হয়েছে তার বিচার চাই এবং আমি সহ আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাইছি একই সাথে আমার চাকরী ফেরত দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহবান করছি। তিনি বলেন অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমি লড়ে যাচ্ছি যদি আমি পরাজিত হই তাহলে বাংলাদেশের সব প্রতিবাদী নারীরা হেরে যাবে। তাই ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমি লড়াই চালিয়ে যাব।

পাঠকের মতামত: