এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলমের সার্বিক প্রচেষ্ঠায় চকরিয়ায় এলজিইডি অর্থায়নে ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দের বিপরীতে একটি গ্রামীণ সেতু ও একটি নতুন সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। অপরদিকে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট একটি নতুন একাডেমিক ভবন পেয়েছে সাহারবিল বিএমএস উচ্চবিদ্যালয়। শনিবার সকালে এলজিইডি অর্থায়নে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পালাকাটা মাছঘাট ব্রিজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাছঘাট ব্রীজের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।
একইদিন বেলা ১২টার দিকে এলজিইডির অর্থায়নে সাহারবিল পরিষদ থেকে মরহুম এহসান হুজুরের বাড়ির রাস্তা মাথা পর্যন্ত ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ ও শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দে সাহারবিল বি.এম.এস উচ্চবিদ্যালয়ে ৪ তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন আলহাজ জাফর আলম এমপি।
পালাকাটা মাছঘাট পয়েন্টে ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল, চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা দলিলুর রহমান, ঠিকাদার ফরিদুল আলম, উপজেলা ঠিকাদার সমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজল, ঠিকাদার ফরিদুল ইসলাম। অপরদিকে সাহারবিল বি.এম.এস উচ্চবিদ্যালয়ে ৪ তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মহসিন বাবুল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, সাহারবিল ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজি মোক্তার আহমদ, প্যানেল চেয়ারম্যান এনামুল হক প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমপি জাফর আলম বলেছেন, নির্বাচনের সময় চকরিয়া-পেকুয়াবাসিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতের পরশে উন্নয়নের মাধ্যমে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলাকে একটি আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। আমার স্বপ্ন আছে পরিকল্পিত উন্নয়নে চকরিয়া-পেকুয়াকে ঢেলে সাজানো হবে। বর্তমানে দুই উপজেলার প্রতিটি উন্নয়নের অভিন্ন কর্মসুচি চলছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষহলে বদলে যাবে এলাকার দৃশ্যপট। উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে জনগনের সহযোগিতা চাই।
তিনি আরও বলেন, চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার উন্নয়নের পাশাপাশি চকরিয়া শহরকে যানজটমুক্ত মেগাসিটিতে রূপান্তর করা হবে। যানজট নিরশনে নির্মিত হবে আধুনিকমানের ফ্লাইওভার। দুই উপজেলার সাত লাখ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বেঁড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নিরাপত্তা বেস্টনী তৈরী করা হবে। জনগনের আর্থিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জনে চকরিয়া-পেকুয়াকে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার পরিকল্পনা চলছে। গ্রামীন জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তে সব ধরণের উন্নয়ন কাজ করা হবে।
পাঠকের মতামত: