এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়ায় সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনের বেপরোয়া গতি এবং দুর্ঘটনা ঠেকাতে চকরিয়া ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। শনিবার ৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের থানা রাস্তার মোড়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম।
চকরিয়া ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানা যায়, অভিযানে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চলাচল, তিনজনের অধিক যাত্রী বহনসহ নানা অপরাধে মোটরযান আইনে ৬টি মামলা দিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও ১৫টি বাস ও ট্রাক থেকে ২৬ হাইড্রোলিক হর্ণ অপসারণ করা হয়।
এ সময় বিশৃঙ্খলভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন যানবাহনকে নিয়ম মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাধ্য করা হয়। রাস্তার ওপর যাত্রী ওঠানামাসহ ট্রাফিক আইন পরিপন্থী অন্যান্য কার্যাবলিও বন্ধ করা হয়। সাধারণ চালক ও মালিকদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন সার্কেল এএসপি।
চকরিয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) মশিউর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি সময়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। চালকদের বেপরোয়া ও অতিরিক্ত মাত্রায় গতি এবং অসচেতনাই এর মুল কারণ। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, অবৈধ হর্ণ অপসারণ ও টিনেজারদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল গতি নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান শুরু করেছে। অভিযানকালে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের হেলমেট বাধ্যতামূলক করতে তাদের উৎসাহের পাশাপাশি আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে উঠতি বয়সী তরুণদের হেলমেট বিহীন বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোয় দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। অভিযানে বেশ কিছু রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল, হেলমেট না থাকা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া শ্রবণশক্তির মারাত্মক ক্ষতি করে এ ধরনের বাস ও ট্রাক থেকে হাইড্রোলিক হর্ণ অপসারণ করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।’
চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. তফিকুল আলম বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানের নির্দেশে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ অভিযান করা হচ্ছে। সড়ক এবং মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। তাই পুলিশ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অভিযানে নেমেছে। পাশাপাশি হেলমেট ব্যবহার করতে মানুষকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. ফেরদৌস, এএসআই মো. মিজানসহ পুলিশ সদস্যরা।
পাঠকের মতামত: