এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় স্বামীর লাথি’র আঘাতে গর্ভবর্তী স্ত্রী দুটি মৃত জমজ সন্তান প্রসব করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় পুলিশ ঘটনারদিন রাতে স্বামী মোহাম্মদ পারভেজ (২৭) ও শ্বাশুড়ি মনোয়ার বেগমকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে। শনিবার সকালে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের পুলেরছড়া আলীর পাহাড় এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। পারভেজ ওই এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় এক সপ্তাহ আগে পারভেজ (২৭) ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের (২৫) মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। ফাতেমা ৫মাসের অন্তসত্বা ছিলেন। গত সোমবার রাতে পূর্বের ঘটনার জের ধরে পারভেজ তার স্ত্রীকে মারধর করেন। এতে মারাত্মকভাবে আহত হয় ফাতেমা। ২৪ মার্চ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ফাতেমাকে পূনরায় মারধর করে পারভেজ তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। এসময় স্থনীয় লোকজন ফাতেমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়া ইউনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ফাতেমা দুটি মৃত জমজ সন্তানের জন্ম দেন।
ফাতেমার স্বজনরা জানিয়েছেন, ফাতেমা ৫মাসের গর্ভবতী ছিলো। তুচছ ঘটনার জের ধরে তার স্বামী পারভেজ ও শ্বাশুড়ি মনোয়ারা বেগম তাকে অমানষিকভাবে নির্যাতন চালিয়েছেন। এতে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে মৃত জমজ সন্তানের জন্ম দেন। অন্তসত্বা স্ত্রীকে মারধরের কারণে পেটের বাচ্চা আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে ফাতেমা মৃত সন্তানের জন্ম দেন বলে জানান চিকিৎসক। এদিকে ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় এলাকাবাসি শনিবার রাতে স্বামী পারভেজ ও শ্বাশুড়ি মনোয়ারা বেগমকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমাকে স্বামী ও শ্বাশুড়ি প্রায় সময় নির্যাতন করতেন। স্থানীয় মহিলা মেম্বার আনোয়ারা বেগম তাদের পারিবারিক সমস্যা সমাধানও করে দেন। এরপরও পারভেজ তাঁর স্ত্রী ফাতেমাকে মারধর বলে শুনেছি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, এক গর্ভবতীকে স্ত্রীকে অমানষিকভাবে করেছেন এই রকম খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখানে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়। এব্যাপারে ফাতেমার ভাই গিয়াস উদ্দিন বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: