নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে বসতি নির্মাণ করে ভূমি দখলের চেষ্টাকালে বাধা দিতে গিয়ে দখলবাজদের সশস্ত্র হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতাসহ চার ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলায় জড়িত অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাত দেড়টার দিকে খুটাখালীর দক্ষিণপূর্ব নয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন, উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মৃত আলহাজ্ব ইউসুফ আলীর চার ছেলে যথাক্রমে মো. সেলিম (৫২), মো. আয়াজ (৪৭), সাইফুল ইসলাম (৪১) ও রফিকুল ইসলাম (৩৯)। চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন চার ভাইয়ের মধ্যে আয়াজ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
হামলায় জড়িত অভিযোগে আটকরা হলেন, খুটাখালী ৬নং ওয়ার্ডের ফরিদুল আলমের ছেলে আবদুল গফুর রুবেল (২৮) ও ৭নং ওয়ার্ডের আবদুর রহিমের ছেলে মো. রুবেল (২৫)।
আহত রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার ২০০৪ সালে ফুলছড়ি বনবিটের আওতায় আমাকে ও আমার বোন শাহানা বেগমকে এক হেক্টর করে সামজিক বনায়ন বরাদ্দ দেয়। এই বনায়নের জমি জবর দখলে চেষ্টা করে আসছিল ওই এলাকার ফরিদুল আলম ও তার আত্মিয়রা। ইতিপূর্বে ওই বনায়নের জমিতে ফরিদরা একটি ঘর নির্মাণ করলে আমরা বনবিভাগসহ জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করি। এনিয়ে বিচারও চলছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে আরো একটি ঘর তৈরীর চেষ্টা করলে আমরা বাধা দিতে যাই। ওই সময় হাতুড়ি ও লোহার রড়সহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করলে আমরা চার ভাই গুরুতর আহত হই।
হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতাসহ চার ভাই আহত হওয়ার খবর পেয়ে হা সপাতালে দেখতে যান চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী চেয়ারম্যান। তিনি ওই সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বর্বরোচিত হামলাকারী দখলবাজদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেন। এসময় ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনও আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান। এ ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত এজাহার দেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: