ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় সরিষা ক্ষেতের দৃশ্য আকৃষ্ট করছে প্রকৃতি প্রেমিদের

চকরিয়া অফিস :
হলুদ রংয়ে ভরে গেছে পুরো মাঠ। সরিষা ফুলের তেমন গন্ধ না ছড়ালেও সরিষা ক্ষেতের দৃশ্য আকৃষ্ট করছে প্রকৃতি প্রেমিদের। এই রকম হলুদ রংয়ের দৃশ্য চোখে পড়ছে কক্সবাজারের চকরিয়ার উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নে বিস্তৃর্ণ এলাকায়। সড়কের পাশে সরিষরার চাষ প্রকৃতি প্রেমিদের মন জুড়িয়ে যাচ্ছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভাল ফলনের আশা করছেন চাষিরা।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ১৫’শ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করেছে কৃষকরা। বিশেষ করে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে সরিষার চাষ করেছে। এরমধ্যে সাহারবিল, বরইতলী, কোনাখালী ও চিরিংগা ইউনিয়নে সরিষা ক্ষেত করে হলুদে হলুদে ভরে গেছে। অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত সরিষার আবাদ শুরু করা হয়। এই তিন মাস সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত সময় বলে জানান কৃষকরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চকরিয়া-বদরখালী-মহেশখালী সড়কের সাহারবিল রামপুর ষ্টেশন পার হয়েই সড়কের উত্তর পাশের্^ চোখে পড়ে বিস্তৃর্ণ এলাকায় সরিষার চাষ। বিশাল এলাকাজুড়ে সরিষা ফুল বাতাসে হেলে দুলে সুভাষ ছড়াচ্ছে। আর প্রকৃতি প্রেমী লোকজন সড়ক দিয়ে যাতায়তের পথে কিছু সময়ের জন্য হলেও মন মুগ্ধকর পরিবেশ দেখছেন।
স্থানীয় কৃষক নেজাম উদ্দিন বলেন, চলতি বছর দুই কানি জমিতে সরিষার করেছে। প্রতিকানি সরিষা আবাদে সার, বিষসহ তার খরচ পড়েছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা মতো। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর ভাল ফলন হবে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.আতিক উল্লাহ কুতুবী বলেন, মুলত চকরিয়া উপজেলাটি কৃষি প্রধান একটি উপজেলা। এখানে নানান জাতের সবজি আবাদের পাশাপাশি সরিষারও আবাদ হয়। বারি-১৪ জাতের সরিষা কৃষকের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।
তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ের কৃষি বিভাগের লোকজনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কৃষকদের আবাদকৃত সরিষা ক্ষেতে কোন সমস্যা দেখা দিলে তার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পাঠকের মতামত: