ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় সওজের জায়গায় নির্মিত দুইশ দোকান ২৫বছর পর উচ্ছেদ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদের বদরখালী বাজার থেকে ফেরিঘাটস্থ চৌরাস্তায় সরকারি রাস্তার জায়গা দখলকরে অবৈধ ভাবে নির্মিত জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এসময় অন্তত দুই শতাধিক অবৈধ দোকান-পাট উচ্ছেদের মাধ্যমে প্রায় ১০ একর জমি উদ্ধার করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

সড়ক বিভাগের লোকজন জানিয়েছেন, উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তিনজন লেবার আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী বাজারে এই অভিযান চালানো হয়েছে।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী রাফিজউদ্দিন মনজুর। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২০-২৫বছর ধরে বদরখালী বাজারের কিছু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমির উপর দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা চালাচ্ছিলো। চকরিয়া-বদরখালী সড়ক প্রসস্ত করার লক্ষে ব্যবসায়ীদের জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়। এজন্য মঙ্গলবার মাইকিং করে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়।

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো.সাখাওয়াত হোসেনে নেতৃত্বে বুধবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করি। অভিযানের একপর্যায়ে বাজারে অবস্থিত বনফুল ও জামান হোটেলের সামনে আসলে লেবারদের সাথে ব্যবসায়ীদের বাকবিতন্ডা হয়। এসময় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় আমাদের তিনজন লেবার সামান্য আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।

বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোশারফ হোসেন বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অবৈধ দখলকৃত জমি উদ্ধার করতে গিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের তিনজন লেবার আহত হয়েছে বলে শুনেছি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, অভিযানের ফলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ আনুমানিক দুইশতাধিক দোকান উচ্ছেদ করেছে। যার পরিমাণ ১০ একর। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

 

পাঠকের মতামত: