এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের কাকাড়াদিয়াস্থ গোয়ারফাড়ি নামক সরকারি শাখাখাল দখলে নিয়ে মাঝপয়েন্টে নির্মিত মাটির বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ও সহকারী কমিশনার ভুমির নির্দেশে পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ( তহসিলদার) মো. আবুল মনসুর ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে শ্রমিক দিয়ে কেটে বাঁধটি অপসারণ করে আশপাশের চিংড়িজোনের লবণ পানির প্রবাহ নিশ্চিত ও নৌযান চলাচল উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) মো আবুল মনসুর। তিনি বলেন, উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের কাকাড়াদিয়া এলাকার গোয়ারফাড়ি নামক সরকারি শাখাখাল দখলে নিয়ে জনৈক নুরুন্নবী নামের এক দাপটে ব্যক্তি মাঝপয়েন্ট মাটির বাঁধ নির্মাণ করে মৎস্য ঘের তৈরি করে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি জনস্বার্থ পরিপন্থি কাজ হওয়ায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) জেপি দেওয়ান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) মো. রাহাত উজ জামান মহোদয় সরকারি খালের সেই বাঁধটি কেটে দিতে নির্দেশ দেন। এরই আলোকে গতকাল সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিক লাগিয়ে মাটির বাঁধটি কেটে দিয়ে অপসারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই এলাকার আশপাশের চিংড়জোনের লবণ পানি প্রবাহ নিশ্চিত ও নৌযান চলাচলের পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে।
ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা আবুল মনসুর বলেন, একইস্থানে কয়েকমাস আগে মাটির বাঁধ নির্মাণ করে অভিযুক্ত নুরুন্নবী গং। ওইসময় স্থানীয় চিংড়ি চাষীরা কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। সেইবারও চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে গত ১৪ জুন বাঁধটি কেটে দিয়ে অপসারণ করি।
বারবার কেন সরকারি খালে বাঁধ দিচ্ছেন জানতে চাইলে অভিযুক্ত নুরুন্নবী জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাই সঠিক তথ্য নিয়ে জড়িতদের চিহ্নিত পুর্বক প্রচলিত আইনে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এখন মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পাঠকের মতামত: