নিউজ ডেস্ক :: কক্সবাজার জেলা চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের রাখাইন পাড়া’র শত-বছরের রাখাইন গুনামেজু বৌদ্ধ বিহার উ মংয়াইন এর নেতৃত্বে অবৈধভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাঙ্গনের অভিযোগ এসেছে, গত ১৬ জুলাই ২০২০ইং তারিখ দিন-দুপুরে প্রায়-৭৫ বছরের ভিক্ষু’কে টেনে-হিচড়ে বের করে বাহিরে ফেলে দিয়ে অসংখ্য লোকজন মিলে শত-বছরের রাখাইন গুনামেজু বৌদ্ধ বিহার ভাঙ্গন শুরু করে।
এলাকাবাসী ভাঙ্গনে বাধা দিলে তাদের ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। বৃদ্ধ ভিক্ষু গত সারা দিন-সারা রাত খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করে এবং রাখাইন গুনামেজু বৌদ্ধ বিহার ভাঙ্গনের প্রতিবাদে উ মংয়াইন (প্রকাশ মং মাষ্টার) বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
এলাকাবাসী আরো জানান, আমরা সবার কাছ থেকে এবং তিন পাবর্ত্য জেলার বৌদ্ধ ধর্মীয় লোকজন থেকে চাঁদা আদায় করে প্রায় ৩০ লাখ উ মংয়াইন (প্রকাশ মং মাষ্টার) কাছে হস্তান্তর করি নতুন রাখাইন গুনামেজু বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের করার জন্য, কিন্তু সেই এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে অনুদান এনে আরেকটি নতুন রাখাইন গুনামেজু বৌদ্ধ বিহার ভবন নির্মাণ করলেও অত্র ভবনে কাউকে ঢুকতে দেয়’না।
এছাড়া নতুন ভবনে কোথা থেকে এক ভিক্ষু’কে এনে রাখা হয়েছে, আমাদের পুরনো ভিক্ষু’কে ওই ভবনে ঢুকতেই দেয় না। আমরা নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য যে ৩০ লাখ টাকা মংয়াইন কে দিয়েছি, সে টাকার হিসাব দিতে বললে সে অকট্য ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং বলে এই রাখাইন গুনামেজু বৌদ্ধ বিহার ভবনসহ জায়গা জমি সব আমার।
এলাকাবাসী বলেন, পুরনো রাখাইন গুনামেজু বৌদ্ধ বিহার ভাঙ্গলে আমাদের কোন সমস্যা নাই, কিন্তু মংয়াইন আমাদের সবাই এবং আমাদের পুরনো ভিক্ষুকে রাখাইন গুনামেজু বৌদ্ধ বিহার নতুন ভবনে আমাদের ঢুকতেই দেয় না। পুরনো ভিক্ষু এবং আমাদের যদি মংয়াইন (প্রকাশ মং মাষ্টার) রাখাইন গুনামেজু বৌদ্ধ বিহারের নতুন ভবনে ঢুকতে না দেয়, তাহলে আমাদের পুরনো রাখাইন গুনামেজু বৌদ্ধ বিহার ভবনটি ভাঙ্গলো কেন। এলাকাবাসী মংয়াইন (প্রকাশ মং মাষ্টার) এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
পাঠকের মতামত: