মো.সাইফুল ইসলাম খোকন, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে। ভিড় জমতে শুরু করেছে মোটা গরম কাপড়ের দিকে। এখন লেপ-তোষকের দোকানের কারিগরদের দম ফেলার ফুরসত নেই।
ফলে লেপ-তোষকের দোকানেও বাড়ছে বেচাকেনা। দেশের গার্মেন্স শিল্পের তৈরীকৃত গরম কাপড় গুলো ছাড়াও (গাইড কাপড়) গুলোতে শীত নিরারণের উপায় খুজছে মানুষ। এখন সব শ্রেনী পেশার মানুষের দৃষ্টি গরম কাপড়ের দিকে।
উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন দোকান, হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লাতে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন হাঁকডাক করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু লেপ-তোষক তৈরিই নয়, শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছেদ ও ব্যবহার্য সামগ্রীতেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। পাতলা পোশাকের পরিবর্তে অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকছেন। তাই এখন কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম পোশাকেরও। ছয় ঋতুর এই দেশে শীতের আগমনী বার্তা শীতকালে হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তা এখন ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, চকরিয়া পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারের লেপ-তোষকের দোকানের প্রায় সবকটিতেই ছিল অর্ডার দিতে আসা ক্রেতাদের ভিড়। লেপ-তোষকের দোকানিরাও অর্ডার গ্রহণ এবং বিভিন্ন রঙ ও মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বলে জানান।
গ্রাম-বাংলার মুরব্বীরাদের একটি প্রবাদ আছে, আশ্বিন মাস এলেই শীতের কারণে মানুষের গা শিরশির করে। কিন্তু কার্তিক মাসের শেষ ভাগ থেকে সকাল হলেই ঘন কুয়াশা আর শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে। সূর্য উঠার ঘণ্টা দুই পরেই আবার বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির এমন রূপ। সন্ধ্যা নামার পরপরই প্রায় সারারাত মাঝারি শীতের কারণে বাসা-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য পাতলা কাঁথা ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষ শীত নিবারণে সাধারণত নির্ভর করেন লেপ-তোষকের ওপর। এ কারণে লেপ-তোষকের কারিগরদেরও শীত আসার আগে থেকেই শুরু হয়েছে ব্যস্ততা। প্রতি বছরের মতো এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
শীতকে সামনে রেখে এরই মধ্যে চকরিয়া উপজেলা ও পৌরশহরের বিভিন্ন মার্কেট, হাট-বাজার গ্রামের গলির মোড়ে গড়ে ওঠা লেপ-তোষক ও গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা। লেপ-তোষকের মার্কেট ঘুরে কারিগরদের আগাম ব্যস্ততার দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল- এই শীত এলো বলে! কারিগররা বলছেন, ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীত জুড়ে।
পাঠকের মতামত: