ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

জেলেদের রুটি-রুজি ও মাছ আহরণ নিশ্চিতে

চকরিয়ায় মানববন্ধন করে ৬দফা দাবিতে ইউএনও’র কাছে স্বারকলিপি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্য জীবী জেলে সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলেদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে রোববার ৬ ডিসেম্বর কক্সবাজারের উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা শাখা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি জেলে সমিতি। এসময় সংগঠনের সদস্য জেলে সমিতির কয়েকশত মৎস্যজীবি উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ তাঁর কার্যালয়ে জেলে সমিতির এই স্বারকলিপি গ্রহন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্য জীবী জেলে সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী, চকরিয়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, চকরিয়া পৌরসভা শাখার সভাপতি মীর মো.ফারুক (টাইগার ফারুক), চিরিঙ্গা ইউনিয়ন কমিটির সহ-সভাপতি জমির উদ্দিন, পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি আবদুল মালেক, কাকারা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুছ।

স্বারকলিপি প্রদানের আগে চকরিয়া উপজেলার অধীন ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকা থেকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্য জীবী জেলে সমিতির অন্তত দুই শতাধিক সদস্য মানববন্ধন কর্মসুচিতে অংশনেন। উপজেলা পরিষদস্থ শেখ রাসেল কমিউনিটি সেন্টার মাঠে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত ৬দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্য জীবী জেলে সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি আশরাফ আলী।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেয়া স্বারকলিপিতে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্র জেলেদের আয়ের পথ সুগম করতে তথা রুটি-রুজি নিশ্চিতে সকল নদীর মোহনায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে হবে। কারণ বর্তমানে বেশিরভাগ মোহনায় পলি জমে ভরাট হয়ে পড়ায় সাগর থেকে মাছ নদীতে ঢুকতে পারছেনা। দাবির মধ্যে আছে, মৎস্য বিভাগের সকল পর্যায়ের প্রকল্পে জেলেদের প্রতিনিধি রাখতে হবে। মৎস্যজীবি জেলেদের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং এফআইডি কার্ড সংশোধন করে মৎস্যজীবি সংগঠনে প্রতিনিধি রাখতে হবে। জেলেদের ভিজিএফ বিতরণে দুর্নীতি বন্ধে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে, প্রয়োজন মত সহায়তা দিতে হবে। কক্সবাজার জেলাকে জাটকা জোনের আওতায় আনতে হবে। জেলেদের জন্য সরকারি খাসজমি বরাদ্দ দিতে এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জলমহালের আয়তন ঠিক রেখে মৎস্যজীবি সংগঠনের নামে বরাদ্দ দিতে হবে এবং সুন্দরবন অঞ্চলে কাকঁড়া-মাছ আহরণে পারমিট দিতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ জেলে পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে সহায়তা ও নিবন্ধিত জেলেদের নামে ১০ লাখ টাকা করে জীবনবীমা চালু করতে হবে।

পাঠকের মতামত: