ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় মাদক ইভটিজিং ও বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে -সহকারি পুলিশ সুপার

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম বলেছেন, উন্নতশীল ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে দরকার অপরাধ প্রবণতামুক্ত একটি সুন্দর সমাজ। কারণ তৃনমুলের জনপদ ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকে। সচল থাকে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। ফলে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে জনগনের ভাগ্য উন্নয়ন ঘটে সহজে। বিশে^র উন্নতশীল দেশ সমুহের বাস্তব চিত্র এই রকম।

তিনি বলেন, সরকারের সফল উদ্যোগের কারনে বর্তমানে বাংলাদেশ এখন সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি সেক্টরে সমৃদ্ধি যেমন বাড়ছে, তেমনি জনগনের জীবন-যাত্রার মান্নোয়ন হচ্ছে। তবে এখনো আমরা ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে ও মাদকসহ কিছু কিছু নৈতিবাচক কাজের কারনে পিছিয়ে আছি। যেসব কারনে সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে, জনমনে অশান্তি তৈরী হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে চকরিয়া উপজেলার কাকারাস্থ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে সচেতনতামুলক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারি পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।

কাজী মতিউল ইসলাম বলেছেন, উন্নয়ন সমৃদ্ধ একটি স্বর্নিভর বাংলাদেশ দেখতে চাইলে, একটি সুন্দর সমাজ বির্নিমানের জন্য সবাইকে মাদক ইভটিজিং-ও বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে ভুমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে জনমত তৈরী করে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে। নৈতিবাচক এসব কাজের ব্যাপারে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করে তুলতে হবে।

চকরিয়া থানা পুলিশের আয়োজনে কাকারা মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আনোয়ার হোসেন কন্ট্রাক্টর । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত ওসমান, চকরিয়া থানা পুলিশের কমিউনীটি পুলিশিংয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মো.এনামুল হক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি চকরিয়া থানার ওসি মো.বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, বর্তমানে সমাজে বিরাজমান সমস্যা সমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাদক, জঙ্গীবাদ, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ। এসব থেকে উত্তরণে সকলকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের সচেতন করতে পারলে এসব থেকে উত্তরণ সম্ভব। তিনি অনৈতিক কাজে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে সহযোগিতার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে কাকারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক, ইউনিয়ন কমিউনীটি পুলিশিংয়ে সভাপতি, সম্পাদক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। #

পাঠকের মতামত: