নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে মাত্র ১০ টাকা গাড়ির ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই ব্যক্তির উপর হত্যার উদ্দেশ্যে দুইদফা হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আহত হয়েছে উলুবনিয়া এলাকার নুর আহমদের ছেলে নবীর হোছন (৫০) ও একই এলাকার ইসলাম আহমদের ছেলে ছাদেক হোছেন (৩৪)। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় চিকিৎসা করতে যাওয়ার পথে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ডুমখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরপর দু’দফা হামলা চালিয়ে নবীর হোছন ও ছাদেক হোছেনসহ দুইজনকে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষ লোকজন। বিগত ২০ ফেব্রুয়ারী মাত্র ১০ টাকা গাড়ি ভাড়ার ইস্যুকে কেন্দ্র স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের কথা অমান্য করে হামলা চালায়।
ওই ঘটনায় আহত হয় নারীসহ ৪জন। এ ঘটনার আইনি সহায়তা পেতে থানা ও আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী সর্বশেষ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আহত ছাদেক হোসেনকে মোটরসাইকেল যোগে চিকিৎসা করতে নিয়ে যাচ্ছিলেন নবীর হোছনকে। এসময় পূর্বের ঘটনায় মামলা করায় পথ গতিরোধ করে দ্বিতীয় দফা হামলা চালায় পূর্বের আসামীরা।
হামলায় আহত নবীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সাদেক হোসেনকে নিয়ে রেল লাইনের ডুমখালীর পথ দিয়ে চকরিয়ার হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। এসময় উৎপেতে থাকে ইউনিয়নের উলুবনিয়া এলাকার মোঃ ইলিয়াসের ছেলে শহিদুল্লাহ প্রকাশ বান্ডু, তার ভাই শফি উল্লাহ টুনাইয়া, সাহাদাত উল্লাহ, তাদের দুলাভাই ২নং ওয়ার্ড ডুমখালী এলাকার বেলাল উদ্দিন, তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম দা, কিরিচ, লোহার রড নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বের মতো হামলা চালিয়েছে।
ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আহতদের ফেলে পালিয়ে যায় আসামীরা। উপস্থিত লোকজন আহতদের উদ্ধার চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রেরণ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার (ইউপি সদস্য) মো. রমজান আলী। তিনি বলেন, ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালী এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল আমিন প্রকাশ আমিন সওদাগরের ফোন পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। রক্তাক্ত আহত অবস্থায় নবীর হোসেন ও ছাদেক হোসেনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করি। জড়িত আসামীরা স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান কারো কথা তোয়াক্কা করে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, এরকম ঘটনায় এখনো (বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত) কেউ থানায় অভিযোগ দেননি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: