এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিক মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা এবং কুরআন শিক্ষা কার্যক্রম গ্রামীণ জনপদে ছড়াচ্ছে দ্বীনি শিক্ষার আলো। অবদান রাখছে সমাজ পরিবর্তনে। দ্বীনি শিক্ষা বিকশিত হওয়ার মাধ্যমে প্রতিটি জনপদে ফিরে আসছে পবিত্র ইসলাম ধর্মের ইতিহাস-ঐতিহ্য। চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে এধরণের সম্ভাবনা। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষা কার্যক্রম দেশে ১৯৯২ সাল থেকে চালু হলেও চকরিয়া উপজেলায় এই কার্যক্রমটি শুরু হয়েছে ২০০৬সালে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা এবং কুরআন শিক্ষা কার্যক্রম ২০১৯সালের ডিসেম্বরে ৬ষ্ট পর্যায়ে প্রকল্প শেষ হচ্ছে। এ কার্যক্রমের অধীকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় ৭৪টি প্রাক-প্রাথমিক কেন্দ্র, ১৩৪টি কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র, ১টি বয়স্ক শিক্ষাসহ মোট ২০৯টি শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া ইফার আওতাধীন ২টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা ও ৫টি রিসোর্স সেন্টার রয়েছে। জানাগেছে, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা কার্যক্রমে প্রতি কেন্দ্রে ৪বছর থেকে ৬বছর পযর্ন্ত ৩০জন করে শিশু লেখাপড়া করেন। এভাবে ৭৪ কেন্দ্রে ৩০জন করে ২২২০জন শিক্ষার্থী এবং ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমের ১৩৪টি কেন্দ্রে ৩০জন করে৪০২০জন শিক্ষার্থী লেখা পড়া করেন। ২টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসায় ১৫০জন করে ৩০০জন শিক্ষার্থী এবং ইফার আওতাধীন খুটাখালীর ভিলিজার পাড়ায় বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রে রয়েছে ২৫জন। সর্বমোট শিক্ষা নিচ্ছেন ৬৫২৫জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও ইফা চকরিয়ার অধীনে ৫টি রিসোর্স সেন্টার রয়েছে। তাকে প্রতিদিন ৩টি জাতীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন ইসলামিক বই সামগ্রী রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগহত লোকজন রিসোর্স সেন্টারে পত্রিকা ও বই পড়তে আসেন। অপরদিকে সরকারি ঘোষিত বেকারত্ব দুরী করণেও সহায়ক ভূমিকা রাখছে এসব শিক্ষা কেন্দ্র।
বর্তমানে চকরিয়া উপজেলার ২০৯টি শিক্ষা কেন্দ্রে ২০৯জন শিক্ষক এবং ২টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসায় ৭জন শিক্ষক, রিসোর্স সেন্টারে ৫জন ও কেয়ারটেকার রয়েছে ৬জন। মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট স্ব-স্ব এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। শিশু শিক্ষার্থীদের নিরক্ষরতা দূরী করণের পাশাপাশি ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখছে। মসজিদ ভিত্তিক গ্রামীণ ধর্মী শিক্ষা সংস্কৃতি মক্তবের বিপরীতে আদর্শ সমাজ বির্নিমানে কাজ করছে গণশিক্ষা কার্যক্রম। তাই উপকার ভোগি লোকজন ও সচেতন অভিভাবকরা মনে করেন, আগামী ডিসেম্বরে ৬ষ্ঠ পর্যায়ে সফলভাবে শেষ হতে যাওয়া এ প্রকল্পের কার্যক্রমে ৭ম পর্যায়ে অনুমোদন এবং প্রকল্পটি স্থায়ীভাবে রাজস্বখাতে নিতে তৃণমূল পর্যায় থেকে জোরালো দাবী উঠেছে।
এদিকে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা কার্যক্রমের একটি দৃষ্টি ১৩ নভেম্বর সকালে চকরিয়া পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহারিয়াঘোনা খোন্দকারপাড়া জামে মসজিদ থেকে তোলা হয়। কেন্দ্র মনিটরিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান কন্ট্রাক্টর বলেন, এধরণের শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকলে মানুষ ধর্মীয় প্রাথমিক শিক্ষা পেতে সহায়ক হবে। তিনি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি এধরণের শিক্ষা ব্যবস্থার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবী জানান।
জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন চকরিয়ার সুপারভাইজার মো: আমির হোসেন বলেন, তারা শিক্ষা কেন্দ্র সমূহে শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছেন। এজন্য কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষকরাও যথেষ্ট আন্তরিক।###
পাঠকের মতামত: