চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে ইজারা নেয়ার নামে জোরপুর্বক মসজিদের কবরস্থান জবরদখল করে সেখানে গাছের চারা রোপনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের সাথে দখলবাজ চক্রের সদস্যদের মধ্যে ইতোমধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় বড় ধরণের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নুনাছড়ি গ্রামে ঘটেছে জবরদখলের এ ঘটনা।
এদিকে দখলবাজদের কবল থেকে মসজিদের কবরস্থান উদ্ধারে আইনী সহায়তা কামনা করে মঙ্গলবার এলাকাবাসির পক্ষ থেকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউছুপের ছেলে মোহাম্মদ মিরান বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটিতে আসামি করা হয়েছে হারবাং স্টেশন পাড়ার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে সালাহ উদ্দিন, উত্তর নুনাছড়ি গ্রামের মৃত জহির আহমদ মেস্ত্রীর ছেলে সাইফুল ইসলাম, বাদশা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মানিক ও ষ্টেশন পাড়ার মৃত বাইট্টা মিয়ার ছেলে মানিকসহ চারজনকে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বাদির অভিযোগটি আমলে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনারকে (ভুমি) নির্দেশ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগটিতে বাদি মোহাম্মদ মিরান দাবি করেন, হারবাং ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নুনাছড়ি গ্রামের বাইতুর মামুর জামে মসজিদের কবরস্থানটি এলাকার অন্তত এক হাজার পরিবারের একমাত্র কবরস্থান। সম্প্রতি সময়ে অভিযুক্তরা কবরস্থানের ওই জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে আকাশমনিসহ নানা প্রজাতির গাছ রোপন করছে। এলাকাবাসি কবরস্থান দখল করে গাছ রোপনের কারণ জানতে চাইলে অভিযুক্তরা মসজিদ কমিটির কাছ থেকে কবরস্থানটি ইজারা নিয়েছেন বলে দাবি করেন।
অভিযোগটিতে বাদি আরো দাবি করেন, মসজিদটি মুলত এলাকার সর্বস্থরের জনসাধাণের সহযোগিতার মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। সেখানে কোন ধরণের কমিটি নেই। এ নিয়ে ইতোমধ্যে এলাকাবাসির সাথে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তারপরও অভিযুক্তরা কবরস্থানে গাছ রোপন করে আসছে। এ অবস্থার কারনে এলাকায় কোন মানুষ মারা গেলে তাকে কবর দেয়া সম্ভব হবেনা বলে লিখিত অভিযোগে বাদি দাবি করেন। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে মসজিদের কবরস্থান উদ্ধারে আইনী সহায়তা কামনা করে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে তিনি বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ মিরান। #
পাঠকের মতামত: