চকরিয়া বিদ্যূৎ বিভাগের পৌরসভা সহ বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার বিদ্যূৎ বিল বকেয়া রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধে তাগাদা দেওয়ার পরও কার্যত কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। বকেয়া বিল ও অবৈধ সংযোগ থাকলেই বিচ্ছিন্ন করা হবে।
জানা যায়, চকরিয়া পৌরশহরে বাড়ছে ছোট-বড় শিল্পকারখানা, বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সেখানে দিনদিন বেড়ে চলছে বিদ্যূতের চাহিদা। এই সরকারের আমলে বড় ধরণের সাফল্য এসেছে বিদ্যুৎ খাতে। সরকারেও যথেষ্ঠ আন্তরিক এখাতের উন্নয়নে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা, ঘরে ঘরে বিদ্যূৎ পৌছে দেওয়া। বিদ্যূৎ উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন। ডিজিটাল ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে বিদ্যূৎ বিভাগকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন বর্তমান সরকার।
কিন্তু নতুন নতুন বিদ্যূৎ সংযোগ বাড়লেও বাড়েনি সেবার মান। বিদ্যূৎ বিভাগের হয়রানি ও দূর্নীতিতে অতিষ্ঠ সাধারণ গ্রাহক। এবার দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যূৎ বিভাগের গ্রাহক হয়রানি ও দূর্নীতির অপবাদ মুচতে চায়। চকরিয়া পৌরশহরের ১৭হাজার গ্রাহককে সেবা দিতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন সদ্য যোগদানকারী আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো। তিনি সেবার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চায় বিদ্যূৎ অফিসকে। বন্ধ করা হবে গ্রাহক হয়রানি, দালাল ও দূর্নীতি। সেবা থেকে গ্রাহককে বঞ্চিত করা যাবে না। সর্বশেষ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বিদ্যূৎ অফিসে ১২জন মিটার রিডার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ২-৩জন মিটার রিডার থাকলেও নতুন নিয়োগে বাড়বে গ্রাহক সেবা।
গ্রাহককে কোন ধরণের হয়রানি করা যাবে না। আবেদনের সাতদিনের মধ্যে নতুন সংযোগ দেওয়া হবে। কোন অনিয়ম ও দূর্নীতি বরদাশ করা হবে না। ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দশদিনের মধ্যে গ্রাহকের কাছে বিদ্যূৎ বিল পৌছানো দেয়া হবে।
এদিকে চকরিয়া পৌরশহরের বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদ্র শিল্পকারখানা থেকে ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বিদ্যূৎ বিল বকেয়া রয়েছে। এরমধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ২কোটি ৩৫লাখ টাকা, বাসা-বাড়ি ১কোটি ৬৩লাখ টাকা, ক্ষুদ্র কারখানা ২৬লাখ টাকা, মসজিদ-মন্দির ৬১লাখ ৫০হাজার টাকা, সড়ক বাতির বিল পৌরসভা থেকে ৩৩লাখ টাকা, সেচ প্রকল্প ৮লাখ টাকা, বড় কারখানা ৮লাখ টাকা বিদ্যূৎ বিল বকেয়া রয়েছে। দফায় দফায় সময় দিয়েও প্রতিষ্ঠানগুলো বিল পরিশোধ করছে না। বিল পরিশোধে প্রতিষ্ঠানগুলোর উদাসীনতাই অন্যতম কারণ।
প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো বলেন, বকেয়া বিল ও অবৈধ সংযোগ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করা হবে। দ্রুত সময়ে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যূৎ পৌছে দেওয়া এ সরকারের মহতি উদ্যোগ। কিছু গ্রাহকের কারণে ভেস্তে দিতে পারি না। ##
পাঠকের মতামত: