নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় দুইটি নতুন মিটার সংযোগের নামে দেড়লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীসহ (বিউবো) তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী। রোববার (১১ মার্চ) চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিটারের টাকা আত্মসাৎ, গ্রাহক হয়রানি ও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে মামলাটি করেছেন চকরিয়া পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের সমশের পাড়া গ্রামের (চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় লাগোয়া) বাসিন্দা আলহাজ ছৈয়দ আলম নামের এক ব্যবসায়ী।
মামলায় বিবাদি করা হয়েছে আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো, উপ-সহকারি আবাসিক প্রকৌশলী মাজহারুল আলম ও বিল সরবরাহকারী দেবানন্দ দত্তসহ তিনজনকে।
মামলার এজাহারে বাদি চকরিয়া পৌরসভার শমসের পাড়া গ্রামের মৃত মফজল আলমের ছেলে ব্যবসায়ী আলহাজ ছৈয়দ আলম অভিযোগ করে জানান, ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারী বিদ্যুতের দুইটি নতুন মিটার নেওয়ার জন্য আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলিম আলো’র পরামর্শে অফিসের বিদ্যুত বিল সরবরাহকারী দেবানন্দ দত্তের নামে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার একটি চেক (চেক নং ৩৪৬৬৪৫৭) প্রদান করেন। তারা ওইসময় চেকের ওই টাকা মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক চকরিয়া শাখা থেকে উত্তোলনও করে নেন। কিন্তু টাকা দেয়ার পর যথাসময়ে তাকে নতুন মিটারে সংযোগ দেয়া হয়নি। এভাবে একবছর পর্যন্ত তাকে আজ দেবে কাল দেবে বলে কালক্ষেপনের মাধ্যমে হয়রানি করেন অভিযুক্তরা।
বাদি ছৈয়দ আলম দাবি করেন, কয়েকদিন আগে তিনি আবারও মিটার সংযোগ পেতে চকরিয়া বিদ্যুত সরবরাহ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান। এসময় তাকে (ছৈয়দ আলমকে) দেখার সাথে সাথে আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো উল্টো ক্ষেপে যান এবং এক পর্যায়ে গালমন্দ করে তাকে কার্যালয় থেকে বের করে দেন।
এ অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি সুবিচার প্রার্থনা করে সর্বশেষ গতকাল রোববার (১১মার্চ) চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে মামলাটি রুজু করেছেন।
জানতে চাইলে চকরিয়া বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম আলো বলেন, চেকের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আর টাকা দিয়ে থাকলে তা তো আমি নিয়নি। মিটার সংযোগ দেয়ার জন্য ওভাবে টাকা নেয়ার নিয়মও নেই। #
পাঠকের মতামত: