ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বাড়ি ফেরার পথে বখাটের হাতে মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীসহ আহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক ::44
চকরিয়ায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য অফিসের অধিন লক্ষ্যাচর ইউনিয়নের মাঠ কর্মী রাশেদা বেগম (৩০) ব্যাপক মারধর ও ম্লীনতার হানির স্বীকার হয়েছে। এসময় তার সাথে থাকা ভাবী হোসনে আরা (৩৩), রিহামনি ও আবদুল্লাহ কম বেশী আহত হয়েছে। গত  ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ৭ টার দিকে জিদ্দাবাজারের পশ্চিম পাশের্^ রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আহত রাশেদা বেগম ওইদিন বিকালে চকরিয়া পৌর শহরে তার বড় ভাবী হোসনে আরা ও ভাইপো আবদুল্লাহ ও রাশেদার কন্যা রিহামনিকে নিয়ে কেনা কেটা করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে টমটম গাড়ি করে চকরিয়া পৌরশহর থেকে বাড়ির পথে রওনা হয়ে ৭ টার দিকে জিদ্দাবাজারের পশ্চিম পাশের্^ পৌছলে রাশেদার উপর হামলা ও শ্লীনতার চেষ্টা চলায় লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর লক্ষ্যার গ্রামের আবুল ফতাহ’র পুত্র বিদেশ ফেরত আসা বখাটে নেজাম উদ্দিন।
স্থানীয় লোকজন রাশেদা ও অপারপর আহদের উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার নিয়ে আসলে রাশেদা বেগমের অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে রেপার করে। বর্তমানে গুরুতর আহত রাশেদা বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাশেদার ছোট ভাই মোহাম্মদ ফারুক জানায়, তার বোনের বিয়ে হয়েছিল ডুলাহাজারায়। সেই ঘরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী ৭ বছর আগে মালেশিয়া গিয়ে নিখোঁজ থাকার কারণে বর্তমানে তার বোন তাদের সাথে পিতার বাড়িতে থেকে লক্ষ্যাচর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মাঠ কর্মী হিসেবে চাকুরী করছে।
তিনি আরো জানায়, তার বোনের স্বামী নিখোঁজের খবর নেজাম উদ্দিন জানার পর থেকে বেশ কয়েক বার তাকে অশ্লীল কথা বলে । এমনকি জোর করে বিয়ে করার চেষ্টা করে। নেজাম উদ্দিন একজন বিবাহিত লোক হওয়ায় তার বাড়ির লোকজন কেউ রাজি না থাকার কারণে নেজাম উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ সেপ্টেম্বের চকরিয়া পৌর শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে হামলা করে গুরুতর আহত করে তার বোন রাশেদা বেগম কে। বর্তমানে তার বোন রাশেদা বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে নাজেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

পাঠকের মতামত: