এম.মনছুর আলম, চকরিয়া : চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চকরিয়ায় যাত্রীবাহী ঈগল পরিবহণ ও জীপ গাড়ীর সংঘর্ষে ৫যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।এতে একজন যাত্রীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে সূত্রে জানায়। শুক্রবার (২০এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার মহাসড়কে উপজেলার ডুলাহাজারা পাগলিরবিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।দুর্ঘটনায় আহতরা হলেনন,চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা সোয়াজানিয়া এলাকার অজি উল্লাহর কন্যা জোসনা আক্তার (৩০) তার বোন রোজিনা আক্তার (১৮),শাহারবিল এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র মোঃ আরিফ (৬),ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছায়রাখালী এলাকার জাফর আলমের কন্য ফাহিমা জন্নাত চম্পাকলি (৭),চকরিয়া পৌরসভার মৌলভীরকুম এলাকার জয়নাল আবেদীনের কন্যা শারমিন আক্তার (১৯)।তৎমধ্যে শিশু ফাহিমা জন্নাত চম্পাকলি আবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।এসময় জীপগাড়ীতে থাকা আরো বেশ কয়েকজন যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,চকরিয়া পৌরশহর থেকে জীপগাড়ী (ঢাকা ল -৬৩) যোগে ডুলাহাজারা পাগলিররবিল এলাকায় সদ্য বিয়ে দেওয়া কন্যার শাশুড় বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল জয়নাল আবেদীনের কন্যা ও তার আত্বীয়-স্বজন।তাদের জীপ গাড়ীটি ডুলাহাজারাস্থ মহাসড়ক থেকে পাগলিরবিল সড়কের মোড়ে ঘোনানোর সময় হঠাৎ পেছন দিক থেকে আসা কক্সবাজারগামী ঈগল পরিবহণ (ঢাকা ব- ১৫ ১১৭৭) সজোরে ধাক্কা দেয়া হলে গাড়ী দুটির সংঘর্ষে জীপগাড়ি উল্টে মহাসড়কে পড়ে যায়।এতে গাড়ীর ভেতরে থাকা যাত্রী গুরুতর আহত হয়।দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।এ ঘটনায় কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় ঘন্টা খানেক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তা স্বাভাবিক করা হয়। এ ব্যাপারে ডুলাহাজারা মালুমঘাট হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ(পুলিশ পরিদর্শক)মো: আলমগীর হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মহাসড়কে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আতদের উদ্ধার করা হয়।দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি জব্ধ করে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: