চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে ভিলেজার পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে বনবিভাগের অফিস ও আশপাশের জায়গা দখলে নিয়ে প্যারাবন কেটে চিংড়ি চাষ করার অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে মনির আলম নামের একব্যক্তি ভিলেজার বাবার নামে বনবিভাগ থেকে অনুমোদন নেয়া জায়গার পাশাপাশি স্থানীয় বনবিট অফিসের পুরো জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে প্রাকৃতিক সৃষ্ট প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের তৈরী করেছে। পাশাপাশি ওই এলাকার অনেকের ভোগদখলীয় জায়গা দখলের জন্য মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, ২০-২৫বছর ধরে বনবিভাগের অফিস ও অফিসের আশপাশের জায়গা দখলে নিয়ে প্যারাবন কেটে এভাবে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করলেও অভিযুক্ত মনির আলমের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি বনবিভাগ। এমনকি বনবিটের জায়গা দখলের ঘটনায় উল্টো স্থানীয় বনকর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সুযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বহলতলী ফরেষ্ট অফিস এলাকার মৃত মোহাম্মদ ইদ্রিছ ২০-২৫বছর আগে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের অধীনে ওই বনবিটের আওতায় ভিলেজার হিসেবে নিয়োগ পান। এ সুবাদে তিনি বনবিভাগের মালিকানাধীন বহলতলী মৌজার আরএস ৬০১/৯৫৭ নম্বর দাগের তুলনামুলক বিএস ১নম্বর খতিয়ানের বিএস ১৮৯০ দাগের ২একর জায়গা ভিলেজারী প্রথার আওতায় রক্ষনাবেক্ষনের জন্য বরাদ্ধ নেন।
অভিযোগ উঠেছে, ভিলেজার মোহাম্মদ ইদ্রিছ মারার পর থেকে তার স্ত্রী ফরিজা খাতুন ও ছেলে মনির আলম অলিখিতভাবে বনবিভাগের ভিলেজারের দায়িত্ব পালন করেন। এ সুযোগে বরাদ্ধ নেয়া জায়গার পাশাপাশি মনির আলম নতুন করে বহলতলী বনবিট অফিসের পুরো জায়গা এবং আশপাশের বিপুল পরিমাণ জায়গা অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সেখানে প্যারাবন কেটে তৈরী করেন চিংড়িঘের। বর্তমানে চিংড়িঘেরে চাষাবাদ করে অবৈধভাবে ভোগদখলে রয়েছেন মনির আলম।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বহলতলী বনবিটের দায়িত্ব কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মনির আলম বনবিভাগের এসব জায়গা দখলে নিয়েছেন। বর্তমানে স্থানীয় অনেকের জায়গা জবরদখলের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন অভিযুক্ত মনির আলম। স্থানীয় চিংড়িচাষী ডুলাহাজারা ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে সামসুল আলম অভিযোগ করে জানান, বনবিভাগের জায়গা দখলে নিয়ে চিংড়িঘের করে ক্লান্ত হয়নি মনির আলম। এখন আমার চিংড়িঘের ও জায়গা দখলের জন্য নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই জের ধরে থানায় আমার বিরুদ্ধে উল্টো মামলা দায়ের করে আমাকে হয়রানি করছে। এখন আমার জায়গা দখলে নেয়ার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক চিংড়ি ঘের মালিক ও চাষীর অভিযোগ, মনির আলম বনবিভাগের জায়গা দখলে নেয়ার পাশাপাশি ওই এলাকায় সাধারণ লোকজনের ভোগদখলীয় বেশির ভাগ জায়গা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকের জায়গা দখলে নিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বনবিভাগের জায়গা উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #
পাঠকের মতামত: