এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে আদালতের আদেশকে তুচ্ছ করে প্রবাসি পরিবারের জমি দখলে নিয়ে দিনদুপুরে পাকাবাড়ি নির্মাণের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী পরিবারটি জীবনহানির আশঙ্কা থেকে থানায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তাতে কর্ণপাত করছেনা অভিযুক্তরা। উল্টো সেখানে ভাড়াটে লোক জড়ো করে পাহারা বসিয়ে দিব্যি বাড়ি নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের বগাচতর মৌজায় ঘটেছে দিনদুপুরে জমি দখলের এই ঘটনা।
চকরিয়া থানায় মঙ্গলবার ৮ ফেব্রুয়ারী এজাহারটি দায়ের করেছেন জমি মালিক ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মগছড়া জুম এলাকার মরহুম আলহাজ মফজল আহমদের ছেলে আবদুচ ছালাম। এজাহারে বিবাদি করা হয়েছে ৯জনকে। তাঁরা হলেন একই এলাকার গোলাম কবির, হাজি নুরুল কবির, মো.নুরুচ্ছফা, আবদুল আজিজ, মো.শওকত, জিয়াবুল, দেলোয়ার হোছন, গোলাম মাবুদ ও শাকিল। চকরিয়া থানার ওসি বাদির এজাহারটি আমলে নিয়ে তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে থানার এএসআই মাসুদ রানাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
এজাহারে বাদি আবদুচ ছালাম বলেন, ডুলাহাজারা বগাচতর মৌজার বিএস ৭৯ খতিয়ানের বিএস ১৬ দাগের মোট ১২ দশমিক ৬৭ একর জমি ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ৩৭৩৯ দলিলমুলে তাঁর প্রবাসি ভাই শাহাব উদ্দিন ও জয়নাল আবেদিন ক্রয় করেন। সেই থেকে উল্লেখিত জমিতে তাঁর পরিবার শান্তিপুর্ণ ভোগদখলে থেকে বসবাস করছেন।
কিন্তু অভিযুক্ত বিবাদিরা দুর্লোভের বশবর্তী হয়ে উল্লেখিত জমি দখলে নিতে চেষ্ঠা করে নানাভাবে হয়রাণি শুরু করলে ২০১৯ সালে তাদের বিরুদ্ধে যুগ্ম জেলা ২য় আদালত কক্সবাজারে একটি অপর মামলা (নং ২০৪/১৯) দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক ওইসময় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত জমিতে কোনধরণের হস্তক্ষেপ না করতে অন্ত:বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারধীন।
ভুক্তভোগী বাদি আবদুচ ছালাম এজাহারে অভিযোগ করে বলেন, আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা ও নিষেধাজ্ঞা আদেশ থাকলেও তা অমান্য সর্বশেষ গত ৮ ফেব্রুয়ারী বিকালে অতর্কিত ইট বালু কংক্রিট নিয়ে এসে অভিযুক্তরা প্রবাসি ভাইদের কেনা জমিতে পাকা বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। খবর পেয়ে আমি বাঁধা দিতে গেলে অভিযুক্তদের পক্ষে সেখানে আগে থেকে পাহারায় থাকা ভাড়াটে লোকজন আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেন। এই অবস্থায় ভয়ে আমি বাধা দিতে সাহস পাইনি।
বর্তমানে অভিযুক্তরা সেখানে ভাড়াটে লোক জড়ো করে পাহারা বসিয়ে বাড়ি নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবদুচ ছালাম। এ ঘটনায় তিনি আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ও পুলিশ প্রশাসনের হন্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনী বলেন, ডুলাহাজারা ইউনিয়নে প্রবাসি পরিবারের জমিতে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণের ঘটনা সংক্রান্ত একটি এজাহার দিয়েছেন। এটি তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে থানার এএসআই মাসুদ রানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ##
পাঠকের মতামত: