ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় প্রধান শিক্ষকের দূর্নীতি: এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি ৩ কিশোর: আত্মহত্যার হুমকী

মনির আহমদ, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার লক্ষারচর ইউনিয়নের নব প্রতিষ্টিত স্কুল লক্ষারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭শিক্ষার্থীর ৬৪জন অংশ গ্রহন করলে ও এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি ৩ শিক্ষার্থী। টাকা নিয়ে ও ফরমপুরন না করায় পরীক্ষা দেয়া থেকে বঞ্চিতরা আত্মহত্যার হুমকী দিয়েছে। আতঙ্কগ্রস্ত পরিবার চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

অভিযোগে জানা যায়,চকরিয়া উপজেলার লক্ষারচর উচ্চ বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে প্রতিষ্টিত হয়। পাঠদানের অনুমতি নিয়েই শুরু করেন দশম শ্রেণী। ধারাবাহিক ভাবে চলতি বছর শাহ ওমরাবাদ হাই স্কুলের মাধ্যমেই ৬৭ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর নিকট প্রস্তুতিমুলক টেষ্ট পরীক্ষা নেয় কর্তৃপক্ষ। জানাযায়, মাত্র ৩ জন ছাড়া সকলেই টেষ্ট পরীক্ষায় ফেল করে। বেশী ছাত্র ফেল করায় বেজায় খুশি হয় স্কুলেরর প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম। ফেল করা অযোগ্য প্রতিজন ছাত্রের কাছে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ফরম পুরম শুরু করে। ৬৭ জন শিক্ষার্থীর সকলের ফরম পুরন হলে ও বনিবনা না হওয়ায় টাকা নিয়েও মাইনুদ্দিন হাসান আসিফ, মোহাম্মদ ইসমাইল উদ্দিন ও আব্দুল্লাহ সায়েম নামের ৩ জনের নামে ফরম পুরন করে ও জমা দেন নাই। এতে  ৩ জনের নামে প্রবেশপত্র আসে নাই।
ফলে মাইনুদ্দিন হাসান আসিফ, মোহাম্মদ ইসমাইল উদ্দিন ও আব্দুল্লাহ সায়েম নামের ৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারে নাই। পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন ৩ শিক্ষার্থী।
এক শিক্ষার্থীর পিতা মৌলানা জহির আহমদ আজিজী জানান, চকরিয়া উপজেলার লক্ষারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একজন মেট্রিক পাশ যুবক। জাল সনদে বিএ পাশ দেখিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করে স্কুল বাণিজ্য করে যাচ্ছে। তার প্রতারনার শিকার হয়ে অনেক অভিভাবক পথে বসিয়েছে। তার কারনে আমার পরিবার আত্মহত্যার হুমকীতে। ছেলের জীবন বাঁচাতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মোহাম্মদ শিবলী নোমানের কাছে আবেদন করেছি।
মাইনুদ্দিন হাসান আসিফ, মোহাম্মদ ইসমাইল উদ্দিন ও আব্দুল্লাহ সায়েম নামের ৩ ছাত্রের ফরম পুরনের টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম বলেন, আসিফ নামের ছাত্রটি আমার সাথে বেয়াদবী করেছে। তাই তার কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত ও পাঠিয়েছি। তারপর ও কথা দিয়েছি আগামী বছর তাকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। তিনি, স্থানীয় চেয়ারম্যানের  মাধ্যমে বিষয়টির মিমাংশার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়ে পত্রিকায় সংবাদ না করার ও অনুরোধ জানান।
এঘটনা নিয়ে মাইনুদ্দিন হাসান আসিফ, মোহাম্মদ ইসমাইল উদ্দিন ও আব্দুল্লাহ সায়েম নামের ৩ জনের পরিবারে চলছে চরম হতাশা।

পাঠকের মতামত: