ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় প্রথম অনলাইন ক্যাসিনোর সন্ধান ৯ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার, টাকা ও মোবাইল উদ্ধার

চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে প্রথম অনলাইন ক্যাসিনোর সন্ধান মিলেছে। গ্রেফতার হয়েছে ৯ জুয়াড়ি।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়া থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে প্রথম বারের মতো অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার আসরের সন্ধান মিলেছে। ওইসময় পুলিশ জড়িত ৯ জুয়াডিকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাতে চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনালস্থ এসএ পরিবহণের দক্ষিণ পাশে কিচেন মার্কেটের ভেতরে মোহাম্মদ আলী’র কুলিং কর্ণারের ভেতর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল সেটসহ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে।

চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, বুধবার রাতে চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনালস্থ এসএ পরিবহণের দক্ষিণ পাশে কিচেন মার্কেট এলাকায় অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার আসর বসানোর খবর পেয়ে থানার ওসি হাবিবুর রহমানের নির্দেশে এসআই প্রিয়লাল ঘোষ, এস আই মফিজুর রহমান, এএসআই খারুল, এএসআই পলাশ বড়ুয়া, এএসআই কামাল (২) ও এএসআই জেড রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানের সময় পৌর কিচেন মার্কেটের ভেতরে মোহাম্মদ আলীর কুলিং কর্ণারের দোকান থেকে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার খেলার সময় হাতেনাতে জুয়ার সাথে জড়িত ৯ জুয়াডিকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভা ৮নম্বর ওয়ার্ডের কোচপাড়া এলাকার আলী আহমদের ছেলে মো.এমরান (২৫), একই এলাকার মৃত ফজল করিমের ছেলে রুহুল আমিন (৩৫), ডেমুশিয়া ইউনিয়নের ছয়কুড়িটিক্কা এলাকার আবদু শুক্কুরের ছেলে মো.ছাদেক (২৮), পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের পুকপুকুরিয়া পাড়া এলাকার নুর কবিরের ছেলে মিজানুর রহমান (৩০), একই এলাকার মো.শামসুল আলমের ছেলে মো.মামুন (২৫), কুমিল্লা বরুড়াা উপজেলার চিতড্ডা ইউনিয়নের মুরি আরা এলাকার মৃত অহিদ আলীর ছেলে মো.সোহেল (২৯), চকরিয়া পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের নিজপানখালী এলাকার মো.হোছনের ছেলে মো.ইউনুছ (২৬), একই এলাকার লোকমান হাকিমের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২৬), পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের কোচপাড়া এলাকার কালুমিয়ার ছেলে মো.জাকির (৪৫)।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, আটক জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮, আইনানুগ কর্তৃক বহির্ভূত ই-ট্রানজেকশন ও সহয়তা করার অপরাধে সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। থানার এসআই প্রিয়লাল ঘোষ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আটককৃত সকল আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ##

পাঠকের মতামত: