নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ দুর্নীতি প্রশমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে টিআইবি’র প্যাকটা প্রকল্পের মতো অ্যাপ নির্ভর প্রকল্প জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সুশাসন নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আজ ১ জুন বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন-মোহনায় সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), টিআইবি, চকরিয়া কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “প্যাকটা প্রকল্প অবহিতকরণ” সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সনাক, টিআইবি, চকরিয়ার সভাপতি বুলবুল জান্নাত শাহিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো: রাহাত উজ জামান, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ -চন্দন কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী।
সনাক, টিআইবি-চকরিয়ার সদস্য সন্তোষ কুমার সুশীল এর স্বাগত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় সনাক, টিআইবি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “প্যাকটা” প্রকল্পের মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন টিআইবি’র ঢাকা অফিসের কো-অর্ডিনেটর কাজী শফিকুর রহমান। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপিত তথ্যে তিনি বলেন পার্টিসিপেটরি অ্যাকশন এগেইনস্ট করাপশন: টুওয়ার্ডস ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি – প্যাকটা প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে ”টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের জন্য দুর্নীতি হ্রাস এবং সেবা প্রদান কার্যক্রমে শুদ্ধাচার বৃদ্ধি”। এছাড়াও তিনি তার উপস্থাপনায় বলেন, জানুয়ারি ২০২২ – ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদি প্যাকটা প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ১. আইনি, নীতিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসনের সক্ষমতা ও চর্চার উন্নয়ন ঘটানো; ২. সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে অংশগ্রহণমূলক এবং কার্যকর সুশাসন নিশ্চিত করা; ৩. অনিয়ম ও দুর্নীতি হ্রাস করে তৃণমূল পর্যায়ে সেবা প্রদান ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে খাতভিত্তিক গবেষণা ও প্রমাণ নির্ভর অ্যাডভোকেসি করা। উক্ত প্রকল্পের আওতায় সনাক-টিআইবি চকরিয়া আগামি ৫ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভূমি, পরিবেশ ও নির্মাণ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন পেশাজীবিদের সমন্বয়ে এসিজি গঠনপূর্বক কমিউনিটি মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাত উজ জামান বলেন, প্যাকটা প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং সেবাদানকারী ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে- এটাই কামনা করছি। উপজেলা ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে উক্ত প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নে যাবতীয় সহযোগিতা প্রদানে আমার অফিস সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ। মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ ও সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ।
উক্ত অবহিতকরণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ ও সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ, সনাক-টিআইবি চকরিয়ার সদস্যবৃন্দ ও সনাক চকরিয়ার ইয়েস গ্রুপের সদস্যবৃন্দ।
পাঠকের মতামত: