এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রোকন মিয়া (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৩ জন। নিহত রোকন মিয়া ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী রিজার্ভ পাড়া এলাকার প্রতিবন্ধী জাফর আহমদের ছেলে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় সামশুদ্দীনের চায়ের দোকান সংলগ্ন একটি খুঁটিতে বিদ্যুৎসস্পৃষ্ট হয়ে হতাহতের এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে যুবক রোকন মিয়া নিহত হওয়ায় ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসি পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা জনিত কারণে ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।
এলাকাবাসী ও বিদ্যুৎ অভিজ্ঞরা জানান, উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে পূর্ব ডুমখালী এলাকায় মিলন কান্তি, বাদল কান্তিসহ তিনজনের ব্যবসায়িক সেচ মোটর ও ১০-১৫টি আবাসিক মিটার রয়েছে। এসব মিটারের ট্রান্সফরমায় মহাসড়ক থেকে ১১ হাজার ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের আর্থির্ণবিহিন শুধুমাত্র এক তারের মাধ্যমে সরাসরি সংযোগ নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা দাবি করেন, গাছপালা বিশিষ্ট প্রায় তিন কিলোমিটার গ্রামের পথ দিয়ে এগার হাজার ভোল্টের আর্থিনবিহীন সিঙ্গেল সংযোগটি সঞ্চালন অত্যন্ত বিপজ্জনক।
এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলা কারনে ঘটনাস্থলের সংযোগস্থলে একটি খুঁটির তারের ইনসুলেটরটি ভেঙ্গে যায় তিনদিন আগে। এরপর বিদ্যুৎ বন্ধের সময় বাতাস ও বৃষ্টিতে এগার হাজার ভোল্টের তারটি ঘর্ষণে ইনসুলেটর ভেঙ্গে লোহার রড দিয়ে খুঁটির সাথে তার সংযুক্ত হয়ে যায়। ঘটনার সময় এক মিনিট কাছাকাছি সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। ওইসময় ভেজা খুঁটি থেকে মাটিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দোকানে বসে থাকা রোকন মিয়া ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এসময় আহত তিন যুবককে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায় উপস্থিত লোকজন।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তারা এলাকায় ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করলে রোকন মিয়া নামের ওই যুবকের আজ মৃত্যু হতো না।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চকরিয়া ব্রাঞ্চের ডিজিএম মোছাদ্দেক হোছাইন বলেন বিষয়টি আমি শুনিনি। আমি এখনি খবর নিচ্ছি। এব্যাপারে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম নুর মোহাম্মদ আজম মজুমদার বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি এবং এব্যাপারে আমি অবগত নই।
পাঠকের মতামত: