কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিংড়িজোনের চরনদ্বীপ এলাকায় কক্সবাজার ও চকরিয়া পৌরসভার মেয়রের মালিকানাধীন চিংড়ি প্রকল্পে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওইসময় ডাকাতরা ফাঁকা গুলিবর্ষন করে ত্রাসের সৃষ্টি করেন। ঘটনার সময় ডাকাতদের হাতে দুই কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় ডাকাতদল চিংড়ি প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ মাছসহ মালামাল লুটে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ইজারদার। শনিবার রাতে ও রোববার সকালে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরনদ্বীপ মৌজার চিংড়ি প্রকল্পে ঘটেছে এ ঘটনা।
অভিযোগে চিংড়ি প্রকল্পের ইজারাদার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের ছেলে জয়নাল উদ্দীন জানান, চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরনদ্বীপ এলাকায় কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমানের, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এবং দৈনন্দিনের সম্পাদক রাশেদুল ইসলামের মালিকাধীন কয়েকটি চিংড়ি প্রকল্প তিনি কয়েকবছর ধরে ইজারা নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছেন। শনিবার রাতে ঘেরের ইজারাদার জয়নাল উদ্দীন শ্রমিকদের নিয়ে মাছ ধরছিলেন। ওইসময় স্থানীয় লিয়াকত আলী বানু ও হেলাল উদ্দীনের নেতৃত্বে ১৫-২০জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল নৌকা বোট নিয়ে চিংড়ি প্রকল্পে হানা দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে।
ইজারাদার জয়নাল আবেদিন জানান, গুলিবর্ষণের সময় তিনি ও কর্মরত শ্রমিকরা দিক-বিদিক পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ডাকাতের গুলিতে ইজারদার জয়নাল ও অপর এক কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হন। ঘন্টাব্যাপী লুটতরাজ চালিয়ে ডাকাতরা একাধিক চিংড়ি প্রকল্প থেকে কমপক্ষে ৫লাখ টাকার মাছ ও বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘের কর্মচারীরা জানান, ডাকাতরা লুটপাটের পর চলে গেলে গুরুতর আহত অবস্থায় চিংড়ি প্রকল্পের জয়নাল আবেদিন ও অপরজনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ইজারাদার জয়নাল আবেদিনের শাররীক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহিরুল ইসলাম খান বলেন, চিংড়ি প্রকল্পে লুটপাটের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে লুটপাটের ঘটনা গুলো সাধারনরত ইজারদার পক্ষের সাজানো কৌশল যাতে মালিক পক্ষ থেকে টাকা দিতে না হয়। তিনি বলেন, তারপরও এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #
পাঠকের মতামত: